অভিজ্ঞতা-অনভিজ্ঞতার বেড়াজালে ইংল্যান্ড-ক্রোয়াশিয়া

রাশিয়া বিশ্বকাপের আর মাত্র তিন ম্যাচ বাকী। এরপরই শেষ হবে বিশ্ব ফুটবলের সবচেয়ে সম্মানিত ও জমজমাট আসর বিশ্বকাপ। এক মাসের এ ফুটবল যাত্রার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বুধবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় মস্কো স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ড ও ক্রোয়েশিয়া।

১৯৯৩ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৮ আসরে প্রথমবার বিশ্বকাপ খেলতে আসে ক্রোয়াশিয়া। আর সেবারই আসরের তৃতীয় হয়ে চমকে দেয় বিশ্বকে। এরপর অবশ্য ক্রোয়েশিয়াকে আর তেমন করে খুঁজে পাওয়া যায়নি। ২০০২, ২০০৬ বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা। ২০১০ বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে পারেনি। ২০১৪ বিশ্বকাপে আবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে যায়। সেই ক্রোয়েশিয়াই এবার উঠে এসেছে সেমিফাইনালে।

অপরদিকে সর্বশেষ ১৯৯০ সালে শেষবারের মতো সেমিতে খেলেছে ইংলিশরা। ১৮ বছর পর শেষপর্যন্ত অবশ্য সেমিতে পৌঁছেছে ইংল্যান্ড।

এবারই প্রথমবার বিশ্বকাপের মূল পর্বে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া। এর আগে অবশ্য এখন পর্যন্ত সাতবার ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড। এর মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে থ্রি-লায়ন্সরা। দুই ম্যাচে জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। বাকী একটি ম্যাচ ছিল ড্র। ২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মুখোমুখি হলেও মূলপর্বে এর আগে কখনোই দেখা হয়নি দল দুটির। আর সে দুই ম্যাচেই জয় পেয়েছে ইংলিশরা।

বাছাই পর্ব ও মূলপর্ব মিলিয়ে এখন পর্যন্ত সব শেষ ১৬ ম্যাচের ১৫টিতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড। অপরদিকে শেষ ৯ ম্যাচে অপরাজিত ক্রোয়েশিয়া। বেলজিয়ামের পর রাশিয়া বিশ্বকাপে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি গোলের মালিক ইংলিশরা। স্বাগতিক রাশিয়াও একই সংখ্যা থাকলেও তারা কোয়ার্টার থেকে বিদায় নেওয়ায় ও প্রথম সেমিফাইনালে বেলজিয়াম বাদ পড়ে যাওয়ায় ইংল্যান্ডের সামনে আছে সুযোগ আছে তাদের ছাড়িয়ে যাওয়ার। ইংলিশদের পরই আছে ক্রোয়েশিয়া। তাদের গোল সংখ্যা ১০টি। যা আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ।

প্রথমবারের মতো ফাইনালে পৌঁছানোর ইতিহাস গড়বে ক্রোয়েশিয়া নাকি শিরোপা জয়ের পথে আরও একধাপ এগিয়ে যাবে ইংল্যান্ড, তা জানতে অপেক্ষা আরও কয়েক ঘণ্টার।