প্রথম ফাইনালিস্ট পেয়ে গেল রাশিয়া বিশ্বকাপ। বেলজিয়ামের বিপক্ষে আক্রমণে পরিপূর্ণ ম্যাচে ১-০ গোলের জয় পেয়ে ১৫ জুলাই মস্কোর টিকিট পেয়ে গেল দিদিয়ের দেশ্যমের দল। এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠল ফ্রান্স। ২০০৬ সালে জার্মানি বিশ্বকাপে সবশেষ ফাইনালে ইতালির কাছে টাইব্রেকারে হেরেছিল ফরাসিরা।
সেইন্ট পিটার্সবুর্গে শুরু থেকেই বল দখল আর আক্রমণের এগিয়ে ছিল বেলজিয়াম। ১৫তম মিনিটে। কেভিন ডে ব্রুইনের পাসে ডি-বক্স থেকে এইডেন হ্যাজার্ডের কোনাকুনি শট দূরের পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। দুই মিনিট পর অপর প্রান্তে ব্লেইস মাতুইদির চেষ্টা ব্যর্থ করে দেন গোলকিপার থিবো কর্তোয়া।
পরের মিনিটে আবারও ডি-বক্স থেকে হ্যাজার্ডের জোড়ালো শট ডিফেন্ডার রাফায়েল ভারানে কোনোমতে মাথা লাগানোয় বল ক্রসবারের উপর দিয়ে যায়। ২২তম মিনিটে দুর্দান্ত সেভে বেলজিয়ামকে গোলবঞ্চিত করেন উগো লরিস। ৩৯তম মিনিটে বাঁজামাঁ পাভার্দের কোনাকুনি শট দুর্দান্তভাবে ঠেকিয়ে ফ্রান্সকে গোল করতে দেননি কর্তোয়া।
ম্যাচের প্রথমার্ধ কাটে গোলশূন্য ভাবে। দ্বিতীয়ার্ধের ৭ম মিনিটেই সামুয়েল উমতিতির গোলে বেলজিয়ামের বিপক্ষে এগিয়ে যায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে কর্নার কিক থেকে বল পেয়ে বেলজিয়ামের জালে পাঠান বার্সেলোনার এই ডিফেন্ডার। গোল খেয়ে আক্রমণ আরও জোরদার করে বেলজিয়াম। তবুও ৬১তম মিনিটে ড্রিস মের্টেন্সের কাছ থেকে ফাঁকায় বল পেয়েও সুযোগ হারান ডি ব্রুইন।
৬৫তম মিনিটে ফেলাইনির হেড গোলপোস্টের সামান্য বাইরে দিয়ে বেড়িয়ে যায়। ৮১তম মিনিটে আক্সেল উইতসেলের বাঁক খাওয়া শট ফিরিয়ে আবারও ফ্রান্সের ত্রাতা লরিস। ম্যাচের বাকী সময় আর গোলের দেখা পায়নি কোনো দল। আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১২টায় ইংল্যান্ড-ক্রোয়েশিয়া ম্যাচে নির্ধারিত হবে দ্বিতীয় ফাইনালিস্ট দল। বেলজিয়ামকে খেলতে হবে ১৪ জুলাই তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচ।