মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত ৮ প্রবাসী বাংলাদেশী কে ২১ লাখ ২২ হাজার ৮৪৩ টাকা ক্ষতিপূরণ দিলো মাহাথির সরকার!

মালয়েশিয়ার বিভিন্ন কোম্পানি থেকে কর্মীদের ক্ষতিপূরণ আদায়ের প্রচেষ্টা চলছে। আর এ প্রচেষ্টায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাসের সক্রিয় আইনি সহায়তায় গত এক মাসে ২১ লাখ ২২ হাজার ৮৪৩ টাকার ক্ষতিপূরণ আদায় করা হয়েছে। চলতি মাসে ৮২ লাখ ৯৪ হাজার ১৩৮ টাকার বকেয়া বীমা আদায়ের আইনি প্রক্রিয়া চলছে। দূতাবাস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

যেসকল বাংলাদেশি কর্মীর ক্ষতিপূরণের চেক পাওয়া গেছে তারা হলেন- আব্দুল্লাহ (পাসপোর্ট নং- বিই ০২৮৩৬৪৭), আমির হোসেন (পাসপোর্ট নং-বিএল ০৩৭৮৮০৩), মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন (পাসপোর্টনং এ-ই১৭৮০৯৭৬),আবুল কাসিম (পাসপোর্ট নং-এফ০০৯১৬৮৬), মনিরুল ইসলাম (পাসপোর্টনং-এফ০৬৪৭২৩), মৃত সুরুজ শেখ (পাসপোর্টনং- এফ ০৩৩৭৭০৮), মো. তরিকুল ইসলাম (পাসপোর্ট নং- এফ ০০৮০৬৫৮), মো. কান্চন মিয়া (পাসপোর্টনং- বিবি০১৭২৬৯৩)।

তবে সেদেশে বাংলাদেশিরা কর্মরত অবস্থায় বকেয়া, দুর্ঘটনা, মৃত্যু ও ইন্স্যুরেন্সের ক্ষতিপূরণ আদায়ে দূতাবাসের সংশ্লিষ্টরা কাজ করলেও বাংলাদেশে আমলাতান্ত্রিক জটিলতা, প্রশাসনিক ধীরগতি ও হয়রানিসহ নানা কারণে বেশিরভাগ শ্রমিকের পরিবার ক্ষতিপূরণ পায়নি বলে অভিযোগ রয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, হাইকমিশনার শহীদুল ইসলামের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় ও তার সার্বিক দিক-নির্দেশনায় আইনি সহায়তায় দুর্ঘটনা, বকেয়া বেতন, মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ আদায়বাবদ নিয়মিত চেক দূতাবাস পাঠানো হলেও বাংলাদেশ থেকে প্রত্যাশিত ব্যক্তিদের নিকট হস্তান্তরে সময় শেষ হয়ে যায়। ফলে চেকটি নগদায়নে সমস্যার সৃষ্টি হয়।

চেকটি পুনরায় মালয়েশিয়াতে ফেরত পাঠানো হয় এবং নতুন করে মালয়েশিয়ার শ্রম অফিসের মাধ্যমে পেতে অনেক সময় লাগে। শুধু তাই নয়, সে দেশের শ্রম অফিসের কর্মকর্তারা মনোক্ষুণ্নও হন। এ অবস্থায় ক্ষতিপূরণ প্রত্যাশীরা একের পর এক দায়-দেনার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন।

এ বিষয়ে কুয়ালালামপুরে বাংলাদেশ হাই-কমিশনের শ্রম কাউন্সিলর সায়েদুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনা, মৃত্যু বা বকেয়া বেতন ও শ্রমিকদের ক্ষতিপূরণ আদায়ে আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশি কর্মীরা ক্ষতিপূরণ পেতে যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয় তার জন্য সজাগ দৃষ্টি রাখা হয়েছে।