ইংলিশরা শেষ যেবার বিশ্বকাপ সেমিফাইনাল খেলেছিল, তখন ক্রোয়েশিয়া নামের একটি দেশ স্বাধীনতা লাভের দাবিতে উত্তাল। ১৯৯৩ সালে স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৯৮ আসরে প্রথমবার খেলতে এসেই তৃতীয় হয়ে চমকে দেয় ক্রোয়েটরা। তারও আট বছর আগে অর্থাৎ, ১৯৯০ সালে শেষবারের মতো সেমিতে খেলেছে ইংলিশরা।শেষপর্যন্ত অবশ্য সেমির গেরো খুলেছে ইংল্যান্ডের। ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে যেখানে প্রতিপক্ষ ক্রোয়েশিয়া। বিশ্বকাপের মূলপর্বে দুদলের প্রথম দেখা।
তবে সবমিলিয়ে আগের সাত দেখায় কী পরিস্থিতি ছিল দেখে নেয়া যাক-
>এখন পর্যন্ত ৭বার ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে মাঠে নেমেছে ইংল্যান্ড। যার ৪টিতে হাসি নিয়ে মাঠ ছেড়েছে থ্রি-লায়ন্সরা। দুই ম্যাচে হারের স্বাদ পেতে হয়েছে, বাকি ম্যাচটি ছিল ড্র।
>২০০৮ ও ২০০৯ সালে বিশ্বকাপ বাছাইয়ে মুখোমুখি হলেও মূলপর্বে এর আগে কখনোই দেখা হয়নি এ দুদলের। সেই দুই ম্যাচে ৪-১ এবং ৫-১ ব্যবধানে জয় পায় ইংলিশরা।
>মূল ও বাছাইপর্ব মিলিয়ে শেষ ১৬ ম্যাচের ১৫টিতেই জয় পেয়েছে ইংল্যান্ড।
>একইভাবে শেষ ৯ ম্যাচে অপরাজিত ক্রোয়েশিয়া।
>যেকোনো প্রতিযোগিতা মিলিয়ে শেষ ৬ ম্যাচের পাঁচটিতেই ইংলিশদের বিপক্ষে ২.৫ গড়ে গোল হজম করেছে ক্রোয়েশিয়া।
>বেলজিয়ামের পর আসরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১টি গোল ইংলিশদের। অবশ্য স্বাগতিক রাশিয়ারও গোল সংখ্যা ছিল ১১টি। তবে তারা কোয়ার্টার থেকে বিদায় নিয়েছে।
>ক্রোয়েশিয়ার গোল সংখ্যা ১০টি। যা আসরের তৃতীয় সর্বোচ্চ।
>ইংলিশদের ১১ গোলের তিনটি গোলই এসেছে পেনাল্টি থেকে, যা কিনা এবারের আসরের সর্বোচ্চ সেট পিস গোলের রেকর্ড।
>লক্ষ্যে শট নেয়াতে রাশিয়া বিশ্বকাপে সমান অবস্থানে ক্রোয়েশিয়া-ইংল্যান্ড। দুদলই শট নিয়েছে সমান ১৯টি।
>গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে চোটের কারণে সিমে ভারসালকোকে পাচ্ছে না ক্রোয়েশিয়া।
>ইংলিশদের এমন সমস্যা খুব একটা নেই। হাল্কা চোট থেকে সেরে উঠেছেন কাইল ওয়াকার, ডেলে আলি ও অ্যাশলি ইয়ং। জর্ডান হেন্ডারসনকে নিয়ে শঙ্কা থাকলেও তিনি সুস্থ হওয়ার পথে। তবে, জেমি ভার্ডির চোট নিয়ে এখনও খানিকটা চিন্তিত থ্রি লায়ন্স কোচ গ্যারেথ সাউথগেট।
>ক্রোয়েটদের জন্য বড় বিপদের কারণ হতে পারেন ইংলিশ অধিনায়ক হ্যারি কেন। ৬ গোল নিয়ে বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটের এখনপর্যন্ত দাবিদার ইংলিশ অধিনায়ক।
>ক্রোয়েটদের হয়ে সর্বোচ্চ দুই গোল অধিনায়ক লুকা মদ্রিচের। ইভান রাকিটিচকে নিয়ে গড়া তার জুটি মাথাব্যথার কারণ হতে পারে ইংলিশদের।