দিল্লিতে এসে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে লবিং করার কথা ছিল ব্রিটিশ আইনজীবী ও হাউস অব লর্ডসের সদস্য লর্ড কার্লাইলের। কিন্তু ভিসা না দেওয়ার কারণে ভারতে আসা হয়নি তাঁর। গত রোববার এই খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর সেদিন সকালেই রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সেখানকার স্থায়ী বাসিন্দা ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
ওই সংবাদ সম্মেলনে ভারত সমালোচনায় মুখর হন রিজভী। বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আনইজীবী লর্ড কার্লাইলকে ভারতের ভিসা না দেওয়া হলে এটা প্রমাণিত হবে যে তাঁকে (খালেদা জিয়া) কারাদণ্ড দেওয়ার পেছনে ভারতীয় হাইকমিশনের ভূমিকা রয়েছে।’
রিজভীর ওই সংবাদ সম্মেলন যারপরনাই ক্ষুব্ধ হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল মিন্টু। ভারতের সঙ্গে বিএনপির সমঝোতার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন এই দুই নেতা। আমীর খসরু ও মিন্টু ফোন করে বসেন লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াকে। তাঁরা বলেন, রিজভীর এমন বক্তব্য চলতে থাকতে তাঁদের পক্ষে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। রিজভী যদি কথা বলে আমরা নাই। তারেককে এই দুই নেতা আরও বলেন, আপনি রিজভীকে দিয়েই দল চালান। সব কিছু সেই করুক।
এর পরপরই লন্ডন থেকে ফোন আসে রিজভীর কাছে। নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় তার যখন তখন সংবাদ সম্মেলন করার ওপর।
তবে ভারতবিরোধী বক্তব্য বন্ধ করতে লন্ডনের কড়া নির্দেশ পেয়ে ভোল পাল্টাতে সময় লাগেনি রিজভীর। রোববার বিকেলেই সংবাদ সম্মেলন করেন রিজভী যেখানে সকালের বক্তব্যই পাল্টে ফেলেন রিজভী।
ওই ঘটনার পর রিজভীই এখন বিএনপির আলোচনার সবচেয়ে বড় ইস্যু। তাঁর কথা বন্ধ হবে কিনা তা নিয়েই আলোচনা চলছে বিএনপিতে।