জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ গতকাল সোমবার সিঙ্গাপুর গেছেন। মেডিকেল চেকআপের কথা বলা হলেও তাঁর সফরসঙ্গী হয়েছেন জাতীয় পার্টির শীর্ষ তিন নেতা দলটির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলদার এমপি, পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি ও মেজর মো. খালেদ আখতার (অব.)। তাই এই মেডিকেল চেকআপের সঙ্গে পূর্বের কয়েকবারের মতোই রাজনৈতিক বৈঠকও হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।
এর আগেও বেশ কয়েকবার জাতীয় পার্টির একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতা সহকারের সিঙ্গাপুর গিয়ে লন্ডনে স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। এবারও তেমনই বৈঠক হচ্ছে বলেই একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে জোট গড়তে দীর্ঘদিন ধরেই তোড়জোড় চালিয়ে যাচ্ছেন তারেক জিয়া। কয়েক দফায় সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ডে এরশাদ বা তাঁর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছে তারেক জিয়ার প্রতিনিধিরা। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দল থাকলেও জাতীয় পার্টিকে নিজেদের কাছে টানতে বদ্ধপরিকর তারেক। ২০ দলের জনসমর্থন নিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের যথেষ্ট প্রশ্ন আছে। এই ২০ দলের ১৯ দলই তাদের একটি সিটই রাখতে পারবে কিনা সন্দেহ।
বিভিন্ন সূত্রের খবর, এর আগে বিএনপির সঙ্গে জোটে এরশাদ প্রেসিডেন্ট পদ চেয়েছিলেন। এবার এরশাদ কি চাইবেন তা নিয়ে প্রশ্ন আছে রাজনৈতিক মহলে। এরশাদকে জোটে টানতে পারলে বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটই পরিবর্তন হতে পারে। তাই অতি অল্পতে এরশাদ সন্তুষ্ট হবেন না বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
তবে দলের টানার চেষ্টা ছাড়াও এবার এরশাদকে দিয়ে অন্য কিছু করাতে চাচ্ছেন তারেক। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চাচ্ছেন কারন্তরীণ বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে এরশাদ মুখ খুলুক। আর এক্ষেত্রে তারেকের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে, এরশাদকে দলের টানার চেয়ে অর্থের বিনিময়ে মুখ খোলানো সহজ। অর্থের বিনিময়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বেগম জিয়ার মুক্তির দাবিতে কথা বলবেন বলেই মনে করছেন তারেক।
সিঙ্গাপুরে তারেকের প্রতিনিধিরা এরশাদকে কতটুকু সন্তুষ্ট করতে পারল তা বোঝা যাবে মেডিকেল চেকআপ শেষে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান দেশে ফিরলেই। তাঁর কথাবার্তাই বলে দেবে সিঙ্গাপুরে তারেক মিশন কতটুকু সফল ।