যে কারণে গুহায় ঢুকেছিলো ক্ষুদে ফুটবলাররা?

থাইল্যান্ডের জলমগ্ন গুহায় আটকা ১২ কিশোর ফুটবলার ও কোচকে উদ্ধারে শুরু হওয়া নাটকীয় অভিযানের প্রথম ও দ্বিতীয় দফায় মোট ছয় কিশোরকে বাইরে নিয়ে আসা হয়েছে।থাইল্যান্ডে গুহায় আটকে পড়া ১৩ জনের মধ্যে ছয়জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। অভিযান এখনও চলছে। উদ্ধারের পর পরই শিশুদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উদ্ধার অভিযানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তিদের বরাত দিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম এ খবর দিয়েছে।আজ রবিবার (৮ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ১০টা থেকে ১২ কিশোর ফুটবলার ও তাদের কোচকে উদ্ধারে অভিযান শুরু করেছে অত্যন্ত সুদক্ষ ডুবুরি দল। উদ্ধারকারী দলে ১৩ জন বিদেশি ডুবুরি ও থাই নৌবাহিনীর পাঁচজন ডুবুরি রয়েছেন।

গত ২৩ জুন বেড়াতে গিয়ে সেখানে আটকে পড়ে ১২ কিশোর এবং তাদের ফুটবল কোচ। তারা গুহায় ঢোকার পর হঠাৎ ভারী বৃষ্টি এবং এতে সৃষ্ট বন্যায় ডুবে যায় গুহামুখ। ভেতরেও ঢুকে পড়ে পানি।বন্যার পানিতে আটকে যাওয়া গুহার যে শুকনো উঁচু জায়গাটিতে গত দু সপ্তাহ ধরে এই দলটি আশ্রয় নিয়েছে তাদের উদ্দেশ্যে ১৮ জন অভিজ্ঞ ডুবুরি কাজ করছে।

একেকজন কিশোরকে দুই জন করে ডুবুরি তাদের তত্বাবধানে বের করে আনছেন। পুরো পথ পার হতে তাদের অন্তত ছয় ঘন্টা করে সময় লাগছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আটকে পড়া ১৩ জনকে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে বের করে আনা যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।কিন্তু তারা কেন ওই গুহায় গিয়েছিল সেই প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট কোন উত্তর এখনো পাওয়া যায়নি। ১২ জন কিশোর ফুটবলার তাদের টিমের কোচসহ গুহার ভেতরে গিয়েছিল জুন মাসের ২৩ তারিখ।

কিশোর ছেলেরা ফুটবল প্র্যাকটিস করতে সকাল দশটার দিকে ন্যাশনাল পার্কে গিয়েছিল। তারপর কী হয়েছিল তারা এখনো কেউ জানে না। গুহার প্রবেশ-মুখের সামনে ১১টি সাইকেল রাখা দেখতে পান নাঙ্গনন ন্যাশনাল পার্কের একজন কর্মী।

তারপর ওই কর্মী কিশোরদের একজনের পিতামাতাও ন্যাশনাল পার্কের কর্মকর্তাদের জানান যে তারাও তাদের ছেলের সাথে যোগাযোগ করতে পারছেন না।তবে, ধারণা করা হচ্ছে প্র্যাকটিস শেষ হয়ে যাওয়ার পর ফুটবলের দলের একজন সদস্যের জন্যে সারপ্রাইজ পার্টির আয়োজন করতে তারা গুহার ভেতরে ঢুকেছিল।