সৌদিতে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশীদের সাথে একি হচ্ছে

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি তার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে নানামুখী সংস্কার-কার্যক্রম হাতে নেন।তারি প্রতিফলনে দেশের নানা ধরনের আইন সংশোধন করছেন আবার নতুন আইন করছেন।

যার ফলে দেশটিতে অন্য দেশের জনবলকে কাজে না লাগিয়ে নিজেরে দেশের জনবলকে কাজে লাগাতে চেয়েছেন জার দরুন বিভন্ন কর্মস্থলে সৌদিদের অগ্রাধিকার দিয়ে বিদেশিদের অব্যহতি দিচ্ছে।এতে করে কাজ হারাচ্ছেন প্রবাসীরা।

২০১৮ সালের প্রথম তিনমাসে সৌদি আরবের সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রায় আড়াই লাখ বিদেশি কাজ হারিয়েছেন। দেশটির সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এসময়ে কাজ হারানো বিদেশির সংখ্যা দুই লাখ ৩৪ হাজার। একই সময়ে বেড়েছে সৌদি নাগরিকদের বেকারত্বের হার। সৌদি পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের তথ্যের ভিত্তিতে তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সির জরিপভিত্তিক এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানা গেছে।

জরিপের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৭ সালের শেষ তিন মাসে সৌদি নাগরিক নন এমন চাকুরিজীবীর সংখ্যা ছিল ১ কোটি চার লাখ ২০ হাজার। ২০১৮ সালের প্রথম তিন মাস শেষে এই সংখ্যা নেমে এসেছে ১ কোটি ১ লাখ ৮০ হাজারে। একইভাবে কমেছে সৌদি চাকুরিজীবীর সংখ্যাও। গত বছরের তুলনায় এই বছরের প্রথম তিন মাস শেষে এই সংখ্যা ৩১ লাখ ৬০ হাজার থেকে ৩১ লাখ ৫০ হাজারে নেমে এসেছে।

সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ঘোষিত নতুন অর্থনৈতিক পরিকল্পনার সঙ্গে এই চাকুরি হারানো মানুষের সংখ্যা বেড়ে যাওয়া বেমানান। তেল নির্ভরতা কমিয়ে ফেলতে বিভিন্ন অর্থনৈতিক উদ্যোগ ছাড়াও টেলিকমিউনিকেশন, ইন্সুরেন্স, ড্রাইভিং এবং খুচরা বাজারে শুধু সৌদি শ্রমিক রাখার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের। সৌদি আরবসহ উপসাগরীয় অন্য দেশগুলো বিদেশি শ্রমিক নির্ভরতার কারণে বিশেষভাবে পরিচিতি।

সৌদি পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, বেসরকারি ও সরকারি খাতের কর্মজীবীর সংখ্যা গত বছরের শেষ তিন মাস নাগাদ ছিল ১ কোটি ৩৫ লাখ ৮০ হাজার। এবছর প্রথম তিন মাসে তা কমে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩০ হাজার।

এছাড়া এই বছরের প্রথম তিন মাসে সৌদি নাগরিকদের মধ্যে বেকারত্বের হারও বেড়েছে। গত বছরের শেষ তিনমাসে এই হার ছিল ১২ দশমিক ৮ শতাংশ আর এই বছরের প্রথম তিন মাস নাগাদ তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২ দশমিক ৯ শতাংশে।দিন দিন আরও প্রবাসীরা কাজ হারাবেন বলে ধারনা করা হচ্ছে।