এ সময়ের বহুল আলোচিত কিম কারদাশিয়ান থেকে টিনা টার্নার। তারা বিনোদন জগতকে বিভিন্নভাবে মাত করে রেখেছেন। রগরগে যৌনতার কারণে তো এমন কোনো দিন নেই যেদিন কিম কারদাশিয়ান সংবাদ শিরোনাম হচ্ছেন না। তার সঙ্গে প্রমাণ হিসেবে জুড়ে দেয়া হচ্ছে ছবি। টিনা টার্নারকে যারা চেনেন তারা জানেন তার অতীত। আন্তর্জাতিক অঙ্গনের এসব বিখ্যাত মুখ দেখলেই শোবিজে তাদের জীবনধারণ সম্পর্কে একটি চিত্র ফুটে ওঠে।
অনেকেই মনে করতে পারেন ব্যাংকে তাদের গচ্ছিত আছে কোটি কোটি ডলার। তবু তারা খ্যাতির পিছনে দৌড়ান। আলোচনায় থাকতে চান। এর মধ্যেও কি তাদের নিজেদের অনুতপ্ত হতে হয় না! অথবা অন্যদের তারা সেলিব্রেটি লাইফস্টাইল নিয়ে পরামর্শ দিতে পারেন না! পারেন। এমনই কয়েকজন তারকার জীবন সম্পর্কে পরামর্শ তুলে ধরা হলো এখানে। তার মধ্যে সারাহ সিলভারম্যান অন্যতম। তিনি কমেডিয়ান। ২০১১ সালের এপ্রিলে টুইটারে তিনি জীবনের ‘ভাল’ পরামর্শ তুলে ধরেন। তিনি লিখেছেন- যদি তোমার জীবন সম্পর্কে যথেষ্ট অনুশোচনা না থাকে তাহলে কমিয়ে ফেলার চেষ্টা করো ‘ব্যাঙ্গস’। যুক্তরাষ্ট্রের সাংবাদিক, কমেডি অভিনেত্রী নোরা এফ্রোন। তিনি নারীদের জন্য কিছু উপদেশ দিয়েছেন, বিশেষ করে তাদের বয়স যখন বিশ উত্তীর্ণ। তিনি বলেন, যখন আমার বয়স ২৬ বছর তখন পুরোটা বছর কিভাবে বিকিনি না পরে সময় কাটাতে পারি তা ভেবে অনুশোচনা হয়! যদি এই লেখা এমন কেউ পড়েন যারা যুবতী তাদের উচিত এই মুহূর্তে একটি বিকিনি পরা। যতক্ষণ তাদের বয়স ৩৪ বছর না হবে ততক্ষণ তা খুলে ফেলা যাবে না। দুঃখজনকভাবে এ সপ্তাহে নিজের বড় ছেলে ক্রেইগকে হারিয়েছেন টিনা টার্নার। শৈশবে তাকে বা তার অন্য সন্তানদের তিনি সময় দিতে পারেন নি বলে বুকে কষ্ট তার। ২০১১ সালে তিনি ভ্যানিটি ফেয়ার ম্যাগাজিনকে বলেছিলেন, যখন সন্তানরা বড় হচ্ছে তখন আমি তাদেরকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারি নি। এ জন্য নিজের কাছে খুবই অনুশোচনা হয়। কষ্ট হয়। এ ছাড়া আছেন কিম কারদাশিয়ান। তিনি তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কোনো চিন্তা করেন না। তাই যা খুশি তাই পরে বেরিয়ে পড়েন। তাতে শরীর উদ্ভাসিত হয় পরিষ্কারভাবে। অনেক সময় তা নগ্নতাকেও অতিক্রম করে। তা নিয়ে তার অনুশোচনা নেই। তিনি ২০১৭ সালে গ্লামার নামে একটি ম্যাগাজিনকে সাক্ষাতকার দিয়েছিলেন। তাতে স্বীকার করেছিলেন, আমি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পাই আমার একটি ছবি নিয়ে। সেটা হলো আমার এনগেজমেন্টের। ওই ছবিটার সময় আমার নখগুলো ছিল ছোট ছোট। আরেকজন তারকা হলেন চের। তিনি মার্কিন সঙ্গীতশিল্পী। যাপন করেছেন উন্মাতাল ও বর্ণিজ জীবন। তিনি স্বীকার করেন এখনও। বলেন, চলার পথে অনেক সুযোগের তিনি অপব্যবহার করেছেন। এ জন্য অনুশোচনা লাগে। ওই সময়ে তুখোর আলোচনায় মারলোন ব্রান্ডো ও এলভিস। তখন দু’বারের অস্কার বিজয়ী মারলোন ব্রান্ডো সম্পর্কে তিনি বলেছিলেন, তার সঙ্গে আমি আরো সাক্ষাত না করায় অনুশোচনা বোধ করছি। সম্ভবত তিনি এলভিস প্রিসলি সম্পর্কে বলেছিলেন, তিনি একবার আমাকে ডেকেছিলেন। সপ্তাহান্তে তার কাছে যেতে বলেছিলেন। কিন্তু আমি ছিলাম ভীষণ নার্ভাস। আমি যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ভেবেছিলাম না আমার যাওয়া ঠিক হবে না। সেটা নিয়েই আমার অনুশোচনা। যুক্তরাষ্ট্রের বহু প্রতিভার অধিকারী ও অভিনেত্রী ডলি পারটন। তিনি এখন একজন গ্রান্ডমাদার। তার চারপাশে ছড়িয়ে আছেন পপ তারকা মিলি সাইরাস। তাদেরকে তিনি নিজের নাতিপুতির মতো করে দেখেন, যদিও ডলি পারটন কখনো নিজে কোনো সন্তান নেন নি। তিনি জীবনবোধ সম্পর্কে বলেন, চুটিয়ে প্রেম করতে করতে আমি আমার প্রেমিককে বিয়ে করে ফেললাম। আমরা শুধু মনে মনে ধরে নিয়েছিলাম যে, আমরা সন্তান নেবো। এ পথ থেকে আমাদের থামাতে পারে এমন কোন ঘটনাই ছিল না। যদি সন্তান নিই তাহলে তার নাম কি হবে তাও ঠিক করে ফেলেছিলাম। তবে সেই সন্তান নেয়া হয় নি। এখন আমি বলি- সৃষ্টিকর্তা আমাকে সন্তান দেন নি। এর অর্থ হলো সবার সন্তানই আমার সন্তান।