সৌদিতে নিহত ১১ জনের মধ্যে পরিচয় মিলেছে যাদের

সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় ১১ বাংলাদেশি নিহত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। জেদ্দার মোহাম্মদী এলাকায় বুধবার সকাল ৭টায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সকাল ৭ টার দিকে একটি মিনিবাসে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন বাংলাদেশি শ্রমিকরা। এ সময় টায়ার বিস্ফোরণ হলে রাস্তার পাশে ছিটকে পড়ে বাসটি। রাস্তার পাশের একটি বৈদ্যুতিক খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা লেগে উল্টে যায়। ফলে ঘটনাস্থলেই ১১ বাংলাদেশি নিহত হন।

নিহতদের মধ্যে একজনের তথ্য পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে একজন হলেন নড়াইলের মোঃ মনিরুল ইসলাম, বাবা মোহসিন হোসাইন। অন্যদের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

কিং ফাহাদ হাসপাতালে আহত চারজন হলেন- ১.মো. ইসরাফিল শেখ, গ্রাম: রামচন্দ্র, পোস্ট-গ্রহতলা, থানা- নড়াইল সদর, জেলা-নড়াইল। ২. সুজন আহমদ, বাবা- শামসুদ্দীন, গ্রাম-বাগলা, পোস্ট-ডিপুটি বাজার, থানা- গোলাপগঞ্জ, জেলা-সিলেট। অন্য দুইজনের তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়া অব্যাহত আছে।

কিং আব্দুল আজিজ হাসপাতালের আহত দুইজন হলেন- ০১. মোঃ ইলাহী, পিতা-শেখ দুদু মিয়া, গ্রাম+পেস্ট+থানা-মাগুরা সদর, জেলা- মাগুরা। ০২. জনাব মোহাম্মদ শাহজান মিয়া, পিতা-আব্দুল হাই, গ্রাম-ফোনারফদা, পোস্ট+থানা-বাহুবল, জেলা-হবিগঞ্জ সৌদি জার্মান হাসপাতালের আহত তিনজন হলেন-১. কবির শেখ, পিতা-মোঃ হিরো শেখ, গ্রাম-পরমল্লিক, গাজিপাড়া, নড়াইল। ২. মোহাম্মদ রুবেল ইসলাম, চৌদ্দ গ্রাম, কুমিল্লা। ০৩.ইমাম হোসেন, পিতা- আবদুল জব্বার।

এ বেপারে জেদ্দা কনস্যুলেটের কাউন্সিলর (শ্রম) আমিনুল ইসলাম বলেন, আমরাও সড়ক দুর্ঘটনার খবর পেয়েছি। হাসপাতালে আমাদের লোক পাঠানো হয়েছে। রিয়াদের বাংলাদেশ দূতাবাস জানিয়েছে, ঘটনার খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। মিনিবাসে সব মিলিয়ে ১৮ জন যাত্রী ছিলেন। বাসটির চালক ছিলেন একজন পাকিস্তানি।