আজ কলম্বিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে ইংল্যান্ড

গ্যারেথ সাউথগেটের অধীনে তারুণ্যনির্ভর ইংল্যান্ড দলের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিয়ে যত আলোচনা হয়েছে, গ্রুপ পর্ব পেরিয়ে নক আউট পর্ব নিশ্চিত হওয়ায় তা অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে থ্রি লায়ন্সরা।

আজ মঙ্গলবার শেষ ১৬’র লড়াইয়ে কলম্বিয়ার মুখোমুখি হচ্ছে ইংলিশরা। আর এই ম্যাচের মাধ্যমে রাশিয়া বিশ্বকাপে সমালোচকদের আরো একবার জবাব দেবার প্রথম কোনো বড় সুযোগ পাচ্ছে সাউথগেট শিষ্যরা।

এমনিতে কলম্বিয়ার সাথে ইংল্যান্ডের সাম্প্রতিক রেকর্ড বেশ ভালোই। যে পাঁচবার কলম্বিয়ার সাথে দেখা হয়েছে, তার একবারও হারেনি ইংল্যান্ড। তবে নতুন কোচ হোসে পেকারম্যানের অধীনে কলম্বিয়ার রেকর্ডও দারুণ, ইউরোপিয়ান দলগুলোর সাথে এখন পর্যন্ত কখনো হারেনি তারা। তবে ইংল্যান্ডের জন্য সবচেয়ে বড় চিন্তা হবে বিশ্বকাপের নকআউটে তাদের রেকর্ড। সর্বশেষ ৮ নকআউট ম্যাচের মাত্র দুইটিতে জয় আছে ইংলিশদের।

এদিকে দলের মূল ভরসা ১০ নম্বর জার্সিধারী হামেস রদ্রিগেজ ছাড়াও দক্ষিণ আমেরিকান দলটিতে বেশ কয়েকজন প্রতিভাবান খেলোয়াড় রয়েছে। চার বছর আগে ব্রাজিল বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠা দলটি অন্তত এদিক থেকে ইংল্যান্ডের চেয়ে কিছুটা হলেও এগিয়ে রয়েছে। ১২ বছরেও ইংল্যান্ড নক আউট পর্বে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি, সেখানে চার বছর আগের স্মৃতি আত্মবিশ্বাসী করতেই পারে কলম্বিয়াকে।

গ্রুপের প্রথম দুই ম্যাচে দারুণ ছন্দে থাকা ইংলিশ রাইট-ব্যাক কিয়েরান ট্রিপিয়ার বলেছেন কলম্বিয়ার বিপক্ষে কি ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে তা নিয়ে পুরো দল বেশ ভালভাবেই অবহিত আছে।

তিনি বলেন, আমরা তাদের নিয়ে অনেক কাজ করেছি। যে মানের খেলোয়াড় তাদের আছে এবং যেভাবে তারা নক আউট পর্ব নিশ্চিত করেছে তাতে তাদের নিয়ে আমাদের বাড়তি সতর্ক থাকতেই হচ্ছে।

ট্রিপিয়ার আরো বলেছেন, টুর্নামেন্টে এ পর্যন্ত ইংল্যান্ড যেভাবে খেলেছে সেই ধারাই অব্যাহত থাকবে। তিউনিশিয়ার বিপক্ষে টুর্নামেন্টের প্রথম ম্যাচে সাউথগেট যে মূল একাদশ সাজিয়েছিলেন অবশ্যই সেটা আবরো ফিরে আসছে। এর অর্থ হচ্ছে রুবেন লফটাস-চিককে সরিয়ে পাঁচ গোল করা কেনকে সহযোগিতা করতে দলে ফিরছেন ডেলে আলি।

কলম্বিয়ান ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার কার্লোস সানচেজও কঠিন এক লড়াইয়ের প্রত্যাশা করছেন। তার মতে, ইংল্যান্ডের ফুটবল ইতিহাস বেশ সমৃদ্ধ। তাদের দলে বেশ কয়েকজন শীর্ষ সারির খেলোয়াড় রয়েছে। কিন্তু তাদের প্রতিহত করার জন্য আমাদের হাতেও অস্ত্র আছে। এই ম্যাচে আমাদের দুই দলেরই বিশ্বকাপে এগিয়ে যাবার সমান সুযোগ রয়েছে। কলম্বিয়া ইংল্যান্ডকে বেশ শ্রদ্ধার চোখেই দেখছে। কারণ তারা নিজেদের যোগ্যতার প্রমাণ ইতোমধ্যেই দিয়েছে। কিন্তু আমরাও পিছিয়ে নেই।