তুরস্কের ক্ষমতাসীন জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) স্থানীয় নির্বাচনের জন্য কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোগান। ২০১৯ সালের মার্চে এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। রবিবার ক্ষমতাসীন একে পার্টির কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এবং নির্বাহী বোর্ডের সভায় এরদোগান এসব কথা বলেন।
সভায় ২৪ জুনের নির্বাচনের বিশ্লেষণ তুলে হয়। নির্বাচনে ক্ষমতাসীন একেপি’র ভোট পূর্ববর্তী নির্বাচনের তুলনায় ৭ শতাংশ কমেছে। ২০১৫ সালের নভেম্বরের নির্বাচনে দলটি ৪৯ শতাংশ ভোট পেয়েছিল কিন্তু ২৪ জুনের নির্বাচনে একেপি পেয়েছে ৪২ শতাংশ ভোট।
সভায় নির্বাচনের ফলাফলের ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজের অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ‘নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোট মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাজ চালিয়ে যাব। কারণ আমরা সদ্যই নির্বাচনের পরিবেশ থেকে বেরিয়ে এসেছি, এখান থেকে আমরা থামব না। এর বিপরীতে, আমরা স্থানীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত থাকবো। এখানে নির্বাচনী পরিবেশ এখনো রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, আমরা যত দ্রুত সম্ভব স্থানীয় নির্বাচনের উপর মনোযোগ দেব। ২৪ জুনের নির্বাচনে প্রদত্ত বার্তা অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পর আমরা নির্বাচনে যাব। একেপি’র সাধারণ কংগ্রেস নির্ধারিত সময়ের অনেক আগেই অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কংগ্রেসে আমাদের পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নির্ধারণ করব এবং তারপর আমাদের নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করব। দলীয় কংগ্রেস ২০১৮ সালের আগস্টে অনুষ্ঠিত হবে।
গত ২৪ জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ৫২ দশমিক ৫০ শতাংশ ভোট পেয়ে বিজয়ী হন প্রেসিডেন্ট এরদোগান। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী কামাল আতাতুর্কের দল সিএইচপি’র প্রার্থী মুহাররেম ইনস এ পর্যন্ত পান ৩০ দশমিক ৬৮ শতাংশ ভোট।
এদিন একইসাথে প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পার্লামেন্ট নির্বাচনেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় এরদোগানের জাস্টিস অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (একে) পার্টির নেতৃত্বাধীন জোট পিপলস অ্যালায়েন্স।
৬০০ আসনের পার্লামেন্টে এরদোগানের দল একে পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ২৯৩ জন এমপি। জোট শরিক এমএইচপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৫০ জন। সিএইচপি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ১৪৬ জন এমপি। তাদের জোট শরিক ইয়ি পার্টি থেকে নির্বাচিত হয়েছেন ৪৪ জন।