সৌদি নারীদের কারণে বিপদে আট লাখ প্রবাসী

সৌদি আরব হলো বিশ্বের একমাত্র দেশ যেখানে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকে। আরব দেশগুলোতে নারীরা ট্যাক্সি চালাতে পারেনা ।এরি মধ্যে সৌদি আরব অন্যতম।মোহাম্মদ বিন সালমান ক্রাউন প্রিন্স হওয়ার পর সৌদি আরবে অনেক সংস্কার করা হয়।

এরই ধারাবাহিকতায় এই নতুন অনুমোদন।তরুণ সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান সম্প্রতি তার দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করতে নানামুখী সংস্কার-কার্যক্রম হাতে নেন। এই সংস্কার কার্যক্রমের মধ্যে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার বিষয়টিও অন্তর্ভূক্ত ছিল।সৌদি আরবে নারীদের গাড়ি চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয় গত ২৪জুন।

সম্প্রতিসৌদি মেয়েদের গাড়ী চালানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ায় বিপদে পড়েছে বাংলাদেশের ৮ লাখ প্রবাসী। সাধারনতসৌদি মেয়েদের যাতায়াতের জন্য আট লাখের মত ড্রাইভার বাংলাদেশ থেকে গেছেন সৌদি আরবে। সৌদি মেয়েদের উপকার করতে যাওয়া এই প্রবাসীরা এখন পড়েছেন বিপদে এবং বলা বাহুল্য এই প্রবাসী ড্রাইভারদের বিপদের কারনও এই সৌদি মেয়েরাই!

বাংলাদেশ থেকে যারা ড্রাইভার ভিসায় সৌদি গিয়েছেন তাদের অদিকাংশের ভিসার নাম হাউজ ড্রাইভিং ভিসা।সঠিক হিসাবে পাওয়া না গেলেও, ঢাকায় শীর্ষ একজন জনসম্পদ রপ্তানিকারক আলী হায়দার চৌধুরী বলছেন, গৃহকর্মে কাজের জন্য নতুন করে লোক নিয়োগের ভিসা দেওয়া শুরুর পর গত দেড় বছরে বাংলাদেশ থেকে অন্তত ৫০,০০০ লোক ড্রাইভারের চাকরি নিয়ে সৌদি আরব গেছেন। জেদ্দায় রেন্ট- এ-কার ব্যবসার সাথে ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করছেন বাহার বকুল। তিনি বলেন, প্রচুর বাংলাদেশীকে তিনি চেনেন যারা বিভিন্ন সৌদি পরিবারে গাড়ী চালকের কাজ করেন।

সৌদি মেয়েদের গাড়ি চালানো শুরু করায় তাদের চাকির ইতিমধ্যে হুমকিতে পড়েছে। অনেকেই এই ভিসা বাদ দিয়ে পামাপাশি কিছু করা যাবে কিনা বা অন্য ভিসায় ট্রান্সফার কিভাবে হবেন সেই উপায় দেখছেন। কিন্তু এই হাউজ ড্রাইভার ভিসা খুব কম দামের হওয়ায় অনেকেই এই ভিসায় সৌদি আরব গেছেন। সৌদি নারীরা এ পেশায় আসায় অনেক প্রবাসী এই পেশা পরিবর্তনের নিয়ম জানতে চেয়েছেন। তবে এটা প্রবাসীদের জন্য হতাসা জনক বর্তমানে সৌদি আরবে কাজ পাওয়া খুব মুশকিল।