সৌদির কাছে ট্রাম্পের নতুন আবদার

বাজারে তেলের ঘাটতি পূরণে সৌদি বাদশাহ সালমানকে তেল উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প সৌদি বাদশাহকে দৈনিক ২০ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত তেল উৎপাদন বাড়ানোর অনুরোধ করেছেন বলে গতকাল শনিবার সকালে তাঁর এক টুইট বার্তায় জানিয়েছেন।

টুইট বার্তায় ট্রাম্প জানান, সৌদি আরবে তেলের উত্তোলন বৃদ্ধি বর্তমানে ইরান থেকে তেল আমদানি না করার যে ঘাটতি, তা পূরণে সহায়ক হবে।

ট্রাম্প বলেন, ‘এই মাত্র বাদশাহ সালমানের সঙ্গে কথা বললাম। ইরান ও ভেনেজুয়েলার সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্ব ও অসহযোগিতাপূর্ণ সম্পর্কের কারণে আমি বাদশাহকে ২০ লাখ ব্যারেল পর্যন্ত তেল উত্তোলন বৃদ্ধি করার কথা জানিয়েছি। তাহলে তেলের ঘাটতি অনেকটাই পূরণ করা যাবে। তেলের দাম অস্বাভাবিক বেশি।’

গত মে মাসে ইরানের সঙ্গে পারমাণবিক চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসার পর ইরান থেকে তেল আমদানি বন্ধ করে দেয় যুক্তরাষ্ট্র।

এক সপ্তাহ আগে অর্গানাইজেশন অব পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ (ওপেক) ও তার মিত্র দেশ রাশিয়ার সঙ্গে এক সভায় তেলের বাজারে ২০১৭ থেকে চলমান ঘাটতি পূরণে উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে সম্মত হয়। সভায় বাড়তি কী পরিমাণ তেলের সরবরাহ প্রয়োজন, তা নিয়েও আলাপ-আলোচনা হয়।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ওপেক কর্মকর্তারা দিনে আরো সাত লাখ ব্যারেল বাড়তি তেলের সরবরাহ দরকার বলে ইঙ্গিত দেন। ট্রাম্প সৌদি বাদশাহকে যে পরিমাণ তেল উৎপাদন বাড়াতে বলেছেন, তা বাজারের চাহিদারও দ্বিগুণ।

সৌদি আরব বিশ্বের সবচেয়ে বড় তেল রপ্তানিকারক দেশ এবং ওপেকের সবচেয়ে বড় জোগানদাতা।

সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, টেলিফোনে কথা বলার সময় সৌদি বাদশাহ ও ট্রাম্প তেলের বাজারে স্থিতিশীলতা রক্ষার ওপরে জোর দেন। বাজারের ঘাটতি পূরণে তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর ভূমিকা রাখা উচিত বলে তাঁরা মনে করেন।

দিনে ২০ লাখ ব্যারেল তেল উৎপাদন বৃদ্ধির ব্যাপারে কোনো কিছু জানায়নি সৌদি গণমাধ্যম। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও কোনো মন্তব্য করেননি।

জানা যায়, সৌদি আরবের দিনে এক কোটি ব্যারেল তেল উত্তোলনের সক্ষমতা আছে, যদিও দেশটি কখনো সেই মাত্রায় তেল উত্তোলেন করেনি।