গোলহীন জেসুসেও সমস্যা নেই!

কৌতিনিয়ো শুরু থেকেই ছন্দে। ইনজুরি-ফেরত নেইমারের একটু সময় লেগেছে। সার্বিয়ার ম্যাচে এই তারকাকে দেখে সবাই কমবেশি সন্তুষ্ট। বাকি থাকলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস আর উইলিয়ান। দুজনের মধ্যেই গোলহীন ‘নাম্বার নাইন’কে যেন একটু বেশি দৃষ্টিকটু লাগছে! নক আউট ম্যাচের আগে তাই নতুন ইস্যু—জেসুসের গোল।

তাঁর কি সহসা গোলে ফেরা হবে? নাকি গোলহীন থেকে একসময় বেঞ্চে চলে যাবেন? মেক্সিকো ম্যাচের আগেই অনেকে বেঞ্চে তুলে দিচ্ছে এ স্ট্রাইকারকে। কিন্তু ব্রাজিলের কোচ তিতে যে তাঁর গোলের জন্য আহাজারি করছেন না। উল্টো ধন্যবাদ পাচ্ছেন ‘ডার্টি ওয়ার্কে’র জন্য। সার্বিয়া ম্যাচে এ স্ট্রাইকারই দৌড়েছেন সর্বোচ্চ ১০.২৬ কিলোমিটার। তাঁর অনেক নিচে কাসেমিরো-উইলিয়ানরা। এ তথ্যের ভিত্তিতে কোচ পিঠ চাপড়ে দিচ্ছেন এই তরুণ স্ট্রাইকারের, ‘এই ফরোয়ার্ডের গোল দরকার, সেটা ঠিক। কিন্তু তার ‘ডার্টি ওয়ার্কে’র মূল্য অনেক বেশি আমার কাছে।’

এখনকার ফুটবলে কোনো সেন্টার ফরোয়ার্ড সাধারণত এত দৌড়ঝাঁপ করে খেলে না, ট্যাকলে যায় না। গোলের সামনে অপেক্ষা করে থাকে সুযোগের জন্য। এই ধারা থেকে বেরিয়ে জেসুস দৌড়ে খেলেন, প্রতিপক্ষের কাউন্টার অ্যাটাকে ট্যাকলে যান। আর এগুলোর কারণে তিতের গুডবুকে এই ফরোয়ার্ড। কোচের বিশ্বাস, বাছাই পর্বে ৭ গোল করা এই স্ট্রাইকারের পায়ে যেকোনো সময় গোলের ফুল ফুটবে।

তাই মেক্সিকো ম্যাচেও তাঁকে বদলানোর কোনো ইঙ্গিত নেই ব্রাজিলিয়ান শিবির থেকে। তা ছাড়া মেক্সিকোকে নিয়ে অতো ভয়ার্ত হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বকাপে তাদের কাছে কখনো হারেনি ব্রাজিল। চার ম্যাচে তিন জয় এবং এক ড্র। এই গোলশূন্য ড্র ম্যাচটি হয়েছে গতবার নিজেদের দেশের মাঠে। কিন্তু তিতের দল যে সেই ড্র ম্যাচের দুর্ভাবনা নিয়ে বসে নেই। গ্রুপ পর্বের ‘রোলার-কোস্টার’ পেরিয়ে ব্রাজিলিয়ান কোচ দলের উন্নতি দেখছেন।

চাপ নিঃসরণের ক্ষমতা দেখছেন, ‘দলটি মানসিকভাবে শক্তিশালী হয়ে উঠছে। মাঠে ভালো পারফরম্যান্সের চাপ সামলানো শিখে গেছে।’ গ্রুপে প্রথম ম্যাচ ড্রয়ের পর এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়েছিল। পরের দুই ম্যাচে কোস্টারিকা ও সার্বিয়াকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল এখন অপেক্ষা করছে মেক্সিকোর জন্য।