অন্যরকম খেলতে চায় ফ্রান্স

এবার বিশ্বকাপের অন্যতম ভারসাম্যপূর্ণ দল মনে করা হচ্ছে ফ্রান্সকে। দ্বিতীয় পর্বে পা রেখেছে তারা গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হিসেবে। কিন্তু ফ্রান্সের কাছ থেকে সেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো খেলা এখনও পর্যন্ত দেখা যায়নি। দলে যেমন সব তারকা আছেন, তারা সেভাবে এখনও জ্বলেও উঠতে পারেননি। বিশেষ করে প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে তাদের গোলশূন্য ড্রয়ের ধরন নিয়ে সমালোচনা হয়েছে।

তবে ফ্রান্সের খেলোয়াড়রা মনে করেন, দ্বিতীয় রাউন্ডে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ম্যাচ থেকেই অন্যরকম ফুটবল খেলতে পারবেন তারা। আর্জেন্টিনাকে ফরাসিরা মেসির জন্য সমীহ করছেন। কিন্তু মেসিরই বার্সেলোনা সতীর্থ বলছেন, বার্সেলোনার সেই রূপে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলতে পারবেন না এই সেরা ফুটবলার।

ফ্রান্সের মিডফিল্ডার এনগোলো কন্তে বলছিলেন, তার প্রয়োজনের খাতিরেই প্রথম রাউন্ডে এক ধরনের ফুটবল খেলেছেন, এখন অন্য ধরনের খেলবেন, ‘আমি মনে করি আমরা আরো ভালো করতে পারি এবং আমরা পরের ম্যাচে উন্নতি করব। আমরা সবাই জানতাম ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচটা আলাদা ছিল। কারণ আমরা সবাই জানতাম আমাদের একটা ড্র প্রয়োজন। খেলার মান কখনো কখনো প্রতিপক্ষের ওপর নির্ভর করে। ডেনমার্কের বিপক্ষে ম্যাচটা ছিল আলাদা কিছু। আমরা উন্নতি করতে পারি এবং আরও ভালো হতে পারি। আমরা ম্যাচটির (শেষ ষোলোর) জন্য সবচেয়ে ভালোভাবেই প্রস্তুত হব।’

ডেনমার্কের বিপক্ষে আক্রমণাত্মক ফুটবল নয় গ্রুপ সেরা হওয়াতেই নজর ছিল বলে দাবি করেন কন্তে, ‘মাঠে থাকার সময় দুয়োটা যে আমাদের জন্য তা আমি বুঝতে পারিনি। এটা দেওয়া হয়েছে কেবল শেষের দিকে ম্যাচের ধীর গতির জন্য। আমরা বুঝতে পারি সমর্থকরা গোল ও ভালো খেলা দেখতে চায়। কিন্তু কখনো কখনো দুই দলই তাদের যা প্রয়োজন তাতেই মনোযোগী হয়। টেবিলে সবার ওপরে থেকে শেষ করতে পেরে আমরা খুশি হতে পারি।’

এদিকে ফরাসি সেন্টার ব্যাক উমতিতি গত দুই বছর ধরে বার্সেলোনায় মেসির সতীর্থ। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে ডেনমার্কের বিপক্ষে বিশ্রামে থাকার পর শনিবার তিনি দলে ফিরবেন বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে, ‘আমি তাকে প্রতিদিন দেখি। তাকে থামানো খুব কঠিন। তার অসাধারণ সব দক্ষতা আছে। আমরা তাকে থামানোর চেষ্টা করব। কিন্তু এই আর্জেন্টিনা দলে সেই একমাত্র খেলোয়াড় নয়, তাদের আরও স্ট্রাইকার আছে।’

বার্সেলোনায় লুইস সুয়ারেসের মতো নির্ভরযোগ্য ফরোয়ার্ড থাকায় যথেষ্ট স্বাধীনভাবে খেলতে পারেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। কিন্তু জাতীয় দলে তারকা সমৃদ্ধ আক্রমণভাগ থাকলেও আর্জেন্টিনার সাফল্য অনেকটাই মেসির ওপর নির্ভর করে। সতীর্থ ফরোয়ার্ড গনসালো হিগুয়াইন শেষ আট ম্যাচে কোনো গোল করতে পারেননি।

বার্সেলোনার হয়ে ক্লাব পর্যায়ের প্রায় সব শিরোপা জেতা ৩১ বছর বয়সী মেসির জাতীয় দলের হয়ে এ পর্যন্ত কোনো শিরোপা নেই। সেই মেসি সম্পর্কে উমতিতি বলছিলেন, ‘আর্জেন্টিনা দলের মেসি বার্সেলোনার চেয়ে ভিন্ন। তার সতীর্থরা এক নয় এবং তাদের খেলার ধরন আলাদা। কিন্তু অনেক বার সে তাদের রক্ষা করেছে। কিন্তু সে একা সবকিছু করতে পারবে না।’