এশিয়া ::
কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপকারী চারটি উপসাগরীয় দেশ বলেছে, কাতারকে অবশ্যই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ছয়টি মূল নীতিমালা মানতে হবে এবং শুধু তাই নয়, তাদেরকে এর আগে যে ১৩ দফা দাবিনামা দেয়া হয়েছিল সেগুলোও মানতে হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা বলেন, তারা কাতারের সাথে সংলাপের জন্য তৈরি আছেন, কিন্তু এসব দাবি মানার ব্যাপারে কোন ছাড় দেয়া হবে না।
সন্ত্রাসবাদে মদদ দেয়ার অভিযোগ এনে কাতারের বিরুদ্ধে বাণিজ্য, যোগাযোগ এবং কূটনৈতিক ক্ষেত্রে অবরোধ আরোপ করেছিল এই চারটি আরব দেশ।
তাদের ১৩ দফা দাবির মধ্যে ছিলো আল জাজিরা টিভি বন্ধ করা, ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠতা কমানো, সন্ত্রাসবাদের সাথে যোগাযোগ ছিন্ন করা, তুরস্কের ঘাটি বন্ধ করা ইত্যাদি।
কাতার এখনও পর্যন্ত এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে চলেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মধ্যস্থতার চেষ্টাও সফল হয় নি। কিছুদিন আগে এ চারটি দেশের পক্ষ থেকে দেয়া এক ঘোষণায় আভাস দেয়া হয়েছিল যে – এই ১৩টি দাবি বাদ দিয়ে তার জায়গায় ৬টি মূল নীতি মেনে নেবার ওপর জোর দেয়া হবে।
কিন্তু এখন মানামায় এই চারটি উপসাগরীয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের এক বৈঠকের পর বলা হচ্ছে, দোহাকে অবশ্যই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ছয়টি মূল নীতিমালা মানতে হবে এবং শুধু তাই নয় তাদেরকে যে ১৩ দফা দাবিনামা দেয়া হয়েছিল সেগুলোও মানতে হবে।
এক সংবাদ সম্মেলনে বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ খালিদ বিন আহমেদ আল খালিফা বলেন, তারা কাতারের সাথে সংলাপের জন্য তৈরি আছেন, তবে এর শর্ত হলো সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন ও অর্থায়ন বন্ধ করার বাস্তব ও সৎ ইচ্ছা দেখাতে হবে কাতারকে।
চারটি দেশ আরো বলছে, ১৩ দফা দাবি মানার ব্যাপারে কাতারকে কোন ছাড় দেয়া হবে না।