যুক্তরাষ্ট্রে চরম দারিদ্র্যের কবলে ২ কোটি মানুষ

সবশেষ হালনাগাদকৃত এক মার্কিন পরিসংখ্যান অনুযায়ী যুক্তরাষ্ট্রে দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৪ কোটি। এর মধ্যে ২ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্য সীমার নিচে বসবাস করছে।

শুধু তাই নয়, দিনে দুই ডলারেরও কম অর্থে জীবন-ধারণ করা লোকজনের সংখ্যা দিনকে দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। এতে দেশটিতে আয়-বৈষম্য তীব্র আকার ধারণ করছে।

২০১৭ সালের সেপ্টেম্বর হালনাগাদ করা ‘ইউএস সেনসাস ব্যুরোর’ তথ্য অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রে প্রতি ৮ জনে ১ জন অন্তত দরিদ্র। মোট জনসংখ্যার ১২.৭ শতাংশ। এদের মধ্যে ১ কোটি ৮৫ লাখ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করেন, যাদের পারিবারিক আয় দারিদ্র্য সীমার অর্ধেকের কম।

এদিকে আরেক গবেষণায় দেখা গেছে, ১৯৯৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে যারা দরিদ্র ছিল তাদের ৪০ শতাংশই ছিল অতি দরিদ্র। ২০১৫ সালে ওই হার বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৪৬ শতাংশ।

ওইসিডিভুক্ত উন্নত ৩৭টি দেশের মধ্যে দারিদ্র্য ও বৈষম্য নিরসনের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান ৩৫ তম। পশ্চিমা দেশগুলোর মধ্যে আয় বৈষম্য যুক্তরাষ্ট্রে সবচেয়ে বেশি।

যুক্তরাষ্ট্রের দরিদ্র জনগণ ও দেশটির মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করতে গিয়ে অ্যালস্টন একদিকে যেমন কথা বলেছেন ওয়াশিংটন ডিসির নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ, উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তা এবং সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে, তেমনি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন ক্যালিফর্নিয়া, অ্যালাবামা, জর্জিয়া, পুয়েরতো রিকো ও ওয়েস্ট ভার্জিনিয়ার দারিদ্র্যপ্রবণ এলাকাগুলো।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারিভাবে প্রকাশিত পরিসংখ্যানের তথ্য দিয়েই তিনি দেখিয়েছেন দেশটি দারিদ্র্য নিরসনে কতটা পিছিয়ে। অ্যালস্টনের ভাষ্য, ‘দেশটির দারিদ্র্য পরিস্থিতি তার বৈভবের তুলনায় অত্যন্ত দৃষ্টিকটু এবং দেশটির প্রতিষ্ঠাকালীন মানবাধিকারের নীতির সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ।’

তিনি মনে করেন, দারিদ্র্য নিরসনে কোন জাদু বাস্তবতা সম্ভব না হলেও যুক্তরাষ্ট্রের মতো ধনী দেশে দারিদ্র্য মূলত ক্ষমতাবানদের ভূমিকার ফলাফল। রাজনৈতিক সদিচ্ছা থাকলে সর্বোচ্চ দ্রুততায় দারিদ্র্যের অবসান ঘটানো সম্ভব।