ক্যাম্পাসে ফুটবল উন্মাদনা

যোজন যোজন দূরে রাশিয়ায় শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ ফুটবল। বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং বেশি বাজেটের একমাত্র ইভেন্ট। আর এত দূরের বাংলাদেশে বসেই চলছে বিশ্বকাপের উন্মাদনা। উন্মাদনা বেশি দেখা যাচ্ছে তরুণদের মাঝে, ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলোতে সব ইস্যুর উপরে স্থান করে নিয়েছে বিশ্বকাপ ইস্যু। সহসাই সর্বত্র দেখা যাচ্ছে প্রিয় দলের পতাকা। চলছে জার্সি কেনার ধুম। হল, ক্যাম্পাস, ক্লাসে তর্ক-বিতর্ক তো লেগেই আছে। মাঠে না পারুক তর্কে নিজের দলকে জিতাতে মড়িয়া হয়ে ওঠছে তারা। কথা হয় এমন কিছু শিক্ষার্থীর সাথে। জানাচ্ছেন— মোহাম্মদ ওমর ফারুক

মাহবুবুর রহমান কমল

শিক্ষার্থী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

ব্রাজিলের সমর্থকরা ইতিমধ্যে অন্যদিকে হাঁটছে। কেউ কারও মতামতের গুরুত্বও দিচ্ছে না। যেমনটা দেখা যায় আমাদের ক্যাম্পাসে। প্রতিটি আবাসিক হলে ছাত্ররা চাঁদা তুলে কিনেছে বিশাল বিশাল পতাকা। পছন্দের দলের সমর্থনে উঁচু ভবন থেকে ওপর থেকে নিচে অবধি টাঙানো ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা ও জার্মানির পতাকা। আবার কোথাও সম্মেলনের আদতে খুঁটি পুঁতে পতাকার লম্বা সারি। জ্যৈষ্ঠের প্রকট গরমের পর বাতাস হলেই পতপত করে উড়ছে সেসব পতাকা। তবে বিশ্বকাপ আসলে খুব ভালো লাগে। বন্ধু-বান্ধবরা খুব মজা করি। একজন আরেকজনকে নিয়ে মজা করে। সব জায়গায় এক কথা বিশ্বকাপ, বিশ্বকাপ।

আদেলী এদিব খান

শিক্ষার্থী, মেন্ডি ডেন্টার মেডিক্যাল কলেজ

আমি ছোটকাল থেকেই ব্রাজিলের সমর্থক। ব্রাজিল তার শৈল্পিক খেলা উপহার দিয়ে পাঁচবার বিশ্বকাপ জিতেছে। আমার বিশ্বাস এবারো কাপ নেবে ব্রাজিল। ঘরে-বাইরে চলবে কোন দল সেরা এই নিয়ে তর্কযুদ্ধ। নিজের দলকে সবার কাছেই সেরা মনে হয়। আমাদের মধ্যে কি ক্যাম্পাস, বন্ধুদের আড্ডা বা চায়ের দোকান সবখানেই চলছে বিশ্বকাপ ফুটবল নিয়ে চর্চা। যেখানে বিশ্বকাপকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রাম, শহর ও নগরে যুবক-যুবতীদের গায়ে উঠবে হলুদ, লাল আর আকাশি রংয়ের জার্সি। বাংলাদেশ বিশ্বকাপে না খেললেও এখানকার মানুষের মধ্যে ফুটবল নিয়ে আগ্রহের কমতি নেই। আর একে কেন্দ্র করে কোটি কোটি টাকার ব্যবসা-বাণিজ্যের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। নিজেরা না খেলতে পারার দুঃখটা ব্যবসা দিয়ে মোচন করছে অনেকে।