‘ডি’ গ্রুপের মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মুখোমুখি দ্বৈরথে নেমেছে আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া। সেন্ট পিটার্সবার্গের এই ম্যাচে জয়ের বিকল্প নেই আর্জেন্টিনার সামনে। অন্যদিকে ড্র করলেই চলবে সুপার ঈগলদের। প্রথম দুই ম্যাচে এক ড্র ও এক হার লাতিন আমেরিকার দেশটির। তাই দলটির সামনে ২০০২ সালের বিশ্বকাপের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নেয়ার কালস্মৃতি চোখ রাঙাচ্ছে।
খেলার ১৬ মিনিটের মাথায় মেসির জাদুতে গোল পোষ্টে ঢুকে যায় বল। খেলার এ পর্যায়ে ১-০ গোলে এগিয়ে মেসিদের আর্জেন্ট্রিনা।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত ৪ বার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা ও নাইজেরিয়া। চারটি ভিন্ন ভিন্ন মহাদেশে। সুপার ঈগলরা হেরেছে প্রতিবারই। তবে কোনবারই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ছেড়ে দেয়নি নাইজেরিয়া। ২০১৪ সালের বিশ্বকাপেই মুখোমুখি হয়েছিল দুই দল। সেবার লিওনেল মেসি যেমন দুই গোল করেছিলেন, সুপার ঈগলদের ‘মেসি’, আহমেদ মুসা, যাকে ‘লিওনেল মুসা’ নামেও ডাকা হয়। তিনিও জোড়া গোল করেছিলেন। শেষ পর্যন্ত আর্জেন্টাইনরা ৩-২ গোলে হেরে যায়।
এদিনও এমন প্রতিদ্বন্দ্বিতা আশা করাই স্বাভাবিক। কারণ টান দ্বিতীয়বারের মত বিশ্বকাপে শেষ ষোলতে যেতে চায় নাইজেরিয়াও। আর মুসাও আছেন ফর্মে। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে চোখে লেগে থাকার মত দুইটি গোল করেছেন। এবার দুই দল মুখোমুখি ইউরোপ মহাদেশে। দেখার বিষয়, ইউরোপ কার মুখে হাসি ফোটায়—মুসা, না মেসির?
আর্জেন্টিনা একাদশ : ফ্রাঙ্কো আরমানি, গ্যাব্রিয়েল মারকাদো, নিকোলাস ওটামেন্ডি, নিকোলাস ত্যাগলিয়াফিকো, মার্কোস রোহো, এভার বানেগা, হাভিয়ে মাচেরানো, এনজো পেরেজ, গঞ্জালো হিগুয়েইন, লিওনেল মেসি, অ্যাঙ্গেল ডি মারিয়া।
নাইজেরিয়া একাদশ : ফ্রান্সিস উঝো, উইলিয়াম ট্রোস্ট একন, কেনেথ ওমেরো, ব্রায়ান ইদু, ওঘনেকার ইতেব, উইলফ্রেড দিদি, জন অবি মিকেল, লিওন বালোগান, ভিক্টর মোসেস, কেলেচি হেনাচো, আহমেদ মুসা।
