জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত আ’লীগ প্রার্থী জাহাঙ্গীর

গাজীপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে আসা ফলাফলে বিপুল ভোটে এগিয়ে থাকায় নিজের জয়ের ব্যাপারে নিশ্চিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম। তাকে ভোট দেওয়ায় গাজীপুরবাসীসহ সকল সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরে নিজ বাসভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান জাহাঙ্গীর আলম।

বিকাল চারটায় ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হয় গণনার কাজ। একে একে আসতে থাকে বিভিন্ন কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থীর এগিয়ে থাকার খবর। সময়ের সাথে সাথে বিএনপি প্রার্থীর সাথে বাড়তে থাকে ভোটের ব্যবধান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ২৪২ কেন্দ্রের বেসরকারি ফল অনুযায়ী দেড় লক্ষাধিক ভোটে এগিয়ে রয়েছেন জাহাঙ্গীর। ভোটের এই চিত্রে নিজের জয় নিশ্চিত বলে মনে করছেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে জবাবে আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, ‘আমি গাজীপুরের মানুষকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমাকে তার সন্তান ভেবে ভোট দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের উন্নয়নে আস্থা রাখুন।’

‘তাহলে আপনিই জয়ী হচ্ছেন বলে নিশ্চিত’-এমন প্রশ্নে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘অবশ্যই, আমার এবং আশেপাশের যেসব কেন্দ্রগুলো আসছে, অনেক কেন্দ্র বেসরকারিভাবে জেনেছি। তারপরও যাচাই বাছাই, রেজাল্ট হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। নিয়ম আছে, নিয়মের মধ্যে চলতে চাই।’

নেতা-কর্মীদেরকে কী বার্তা দেবেন-জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘নেতা কর্মীদের কাছে অবশ্যই অনুরোধ আছে। মানুষের জয়লাভ করলে আনন্দ হয়। তারা অবশ্যই আনন্দ করবেনে। কিন্তু কেউ যেন অতি উৎসাহিত হয়ে প্রতিপক্ষকে কোনোভাবে আঘাত না করে।’

সিটি করপোরেশন সবার জানিয়ে সবাইকে সাথে নিয়ে কাজ করতে চাওয়ার কথাও বলেন জাহাঙ্গীর। বলেন, ‘গাজীপুরের মানুষ যানজটে অনেক কষ্ট করে, জলাবদ্ধতায় কষ্ট করে, এগুলো কীভাবে সমাধান করা যায়, আসুন সবাই মিলে এই সমস্যাগুল কীভাবে সমাধান করা যায় সেটি করি।’

বিএনপির প্রার্থী হাসান উদ্দিন সরকার অভিযোগ করেছেন, ভোটে শতাধিক কেন্দ্র দখল করে সিল মারা হয়েছে। এই অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘বিএনপি প্রার্থীকে বলব, উনি সম্মানিত লোক না বুঝে কোন ব্লেম দেবেন না।’

‘আমি ওনাকে অনুরোধ করেছিলাম, নালিশ না করে আসুন জনগণের জন্য কী করা যায়। ওনি সম্মানিত লোক, না জেনে কোনো কিছু বললে ঠিক হবে না ‘

‘ওনি নিজেও একটা কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন, আমিও দিয়েছি। ওনারও একটা জন্মস্থান আছে আমারও একটা জন্মস্থান আছে। আমার চেয়ে ওনার বয়স বেশি। ওনার ভালোটাও যেমন জানে, খারাপটাও জানে। আমারও ভালোটাও জানে, খারাপটাও জানে। সে জন্য আমাদের সব কিছু বুঝেশুনে বলা উচিত।’