বিপদ আরো বাড়ল ব্রাজিলের!

বিপদ আরো বাড়ল ব্রাজিলের। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের কারণে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে নাকি খেলতে পারবেন না ডগলাস কস্তা। ব্রাজিলের সংবাদমাধ্যম গ্লোবা এস্পোর্তো জানিয়েছে, পুরো সুস্থ হয়ে উঠতে দুই থেকে তিন সপ্তাহ সময় লাগতে পারে ডগলাস কস্তার। আর সেটা যদি ঠিক হয়, তাহলে বিশ্বকাপে ব্রাজিলের হয়ে মাঠে নামার আর কোনো সুযোগ পাবেন না জুভেন্তাসের এই উইঙ্গার।

কারণ রাশিয়া বিশ্বকাপের ফাইনাল হবে ১৫ জুলাই। আপাতত বেস ক্যাম্পে রেখেই ডগলাসকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চলছে। তাই সোচি থেকে গ্রুপের শেষ ম্যাচ খেলতে মস্কোয় নিয়ে যাওয়া হয়নি তাকে। চোট রয়েছে ড্যানিলোরও। তিনিও হয়তো সার্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলতে পারবেন না। তবে ব্রাজিলের চিকিৎসক জানিয়েছেন, ড্যানিলোর চোট ততটা গুরুতর নয়।

হতে পারে সুইজারল্যান্ড ও কোস্টারিকার বিরুদ্ধে প্রথম একাদশে জায়গা পাননি ডগলাস কস্তা। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে বদলি হিসাবে মাঠে নেমে দুর্দান্ত ফুটবল খেলেছিলেন জুভেন্তাসের উইঙ্গারটি। ডানপ্রান্ত দিয়ে একের পর এক আক্রমণ শানিয়ে বিপক্ষ দলের ডিফেন্সকে ছারখার করে দিতে সফল হয়েছিলেন ডগলাস। চোট না পেলে গ্রুপের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে সার্বিয়ার বিরুদ্ধে তিনি সম্ভবত শুরু থেকেই মাঠে নামার সুযোগ পেতেন।

তার চোটের ব্যাপারে ব্রাজিল দলের চিকিৎসক রডরিগো লাসরাম জানিয়েছেন, ডগলাস কস্তা ডান পায়ের হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছেন। তার সারতে সময় লাগবে। লাসরাম নির্দিষ্ট করে কিছু না বললেও, ব্রাজিলের এক সংবাদপত্র দাবি করেছে, কস্তার সুস্থ হয়ে মাঠে ফিরতে কমপক্ষে ১৫-২০ দিন সময় লাগবে। আর সেটা যদি সত্যি হয়, তাহলে কস্তাকে ভুলেই রণকৌশল সাজাতে হবে ব্রাজিলের কোচ তিতেকে।

ব্রাজিলের সাবেক ফুটবলার রিভাল্ডো বলেছেন, ‘কস্তার গুরুত্ব কতটা সেটা আমরা কোস্টারিকা ম্যাচেই বুঝে গেছি। দ্বিতীয়ার্ধে উইলিয়ানের বিকল্প হিসাবে মাঠে নেমেই ও জাত চিনিয়েছিল। আমার মনে হয় বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ হাতছাড়া হওয়ার ভয়েই হয়তো কস্তা চোটের কথা চেপে গিয়েছিল। সেটা ও ঠিক করেনি।’