মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত প্রবসী বাংলাদেশীদের আরোক দুঃস্বপ্নের নাম বাংলাদেশ হাইকমিশন বিস্তারিত পড়ুন!

দেশটিতে কর্মরত্ব অবৈধ বিদেশি কর্মীদের বৈধকরণের অন্যতম ধাপ ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার শেষ সময় ৩০ জুন পর্যন্ত বেঁধে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ ৷ ইমিগ্রেশনে ফিঙ্গার প্রিন্ট দেওয়ার জন্য নিজ দেশের পাসপোর্ট সাথে করে নিয়ে আসা বাধ্যতামূলক।

অন্যদিকে, মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে নতুন করে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও পাসপোর্ট হাতে না পাওয়ার অভিযোগ তুলেছেন প্রবাসীরা ৷

ডেলিভারি স্লিপ অনুযায়ী খালেকুজ্জামান (ছদ্ম নাম) এর পাসপোর্ট পাওয়ার কথা ছিলো ৩০ মে। তবে পাসপোর্ট আনার জন্য সে ৪ জুন হাইকমিশনে গিয়েছেন ৷ তাকে হাইকমিশন থেকে বলা হয়েছে, আরও ২ থেকে ৩ সপ্তাহ পরে যেন তিনি যোগাযোগ করেন।

এ বিষয়ে খালেকুজ্জামান বলেন, ‘৩০ জুনের মধ্যে ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করার শেষ সময়। কিন্তু আমি এখনও আমার পাসপোর্ট পাইনি। তাহলে আমি বৈধতা পাবো কিভাবে! হতাশার মধ্যে রয়েছি।’

জহুর বারুতে কর্মরত্ব শাহিন আলমের অবস্থা আরও শোচনীয় ৷ আবেদন করার ৮ মাস হয়ে গেলেও পাসপোর্টে হাতে পাচ্ছেন না তিনি। রংপুর জেলার ছেলে শাহিন আলমও পাসপোর্ট না থাকার কারণে ইমিগ্রেশনে যোগাযোগ করতে পারছেন না।

কক্সবাজার জেলার একজন বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রবাস কথা’কে জানান, পাসপোর্ট ডেলিভারি দেওয়ার পর পাঁচ বার হাইকমিশনে যোগাযোগ করার পরও নির্ধারিত সময়ের আগে পাসপোর্ট পাবো কি না বলা যাচ্ছে না। পুলিশ ভেরিফিকেশন না পাওয়ার কারণে তার পাসপোর্ট ইস্যু হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাইকমিশন কর্তৃপক্ষ ৷ অন্যদিকে, পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ বড় অংকের টাকা অর্থ দাবি করেছে বলে তার অভিযোগ ৷

এছাড়াও নাজমুল আজহার ও আরফান ইউসোফ ৩ মাস এবং জয়নাল ১৪ মাস আগে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেছেন। কিন্তু তারা এখনও পাসপোর্ট হাতে পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেছেন।

এ বৈধকরণ প্রক্রিয়ায় নিবন্ধন করে পাসপোর্ট এর অভাবে কয়েকশত প্রবাসী বাংলাদেশি বৈধতা না পাওয়ার আশংখা করছেন প্রবাসীরা ৷ বৈধকরণের এ সুযোগকে কাজে লাগানোর জন্য বিশেষ গুরুত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকার অতি দ্রুত মালয়েশিয়ায় প্রবাসীদের হাতে পাসপোর্ট দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করেন।