ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা নিয়ে আপনার অফিসেও এমনটা হচ্ছে?

ফুটবল বিশ্বকাপ বলে কথা। অন্য আট-দশটি অফিসের মতো আমাদের অফিসেও চলছে খুঁনসুটি-টিপ্পনি কিংবা অ্যাটাক-কাউন্টার অ্যাটাক। কথার মারপ্যাঁচ-ফেসবুকে জ্বালাময়ী স্ট্যাটাসে সবার প্রাণপন চেষ্টা নিজের দলকে এগিয়ে রাখার। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার পাশা-পাশি কেউবা সাপোর্ট দিচ্ছেন স্পেন-জার্মানিকে। বাদ নেই অফিস প্রধান থেকে সহকারীও। এক কথায়, এরিনা-লুজানিকি ও সেন্ট পিটার্সবাগ স্টেডিয়াম ছুঁয়ে উত্তেজনার পারদ ছড়িয়ে পড়েছে আমাদের অফিসেও।

‘ফুটবল কোট-প্যান্টধারীদের খেলা না! মজা আছে বলেই এটা গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ।’ অফিসের সবার নখ কামড়ানো মনোভাব দেখে (হয়তো) সেদিন হুট করে কথাটা বলে ফেলেন আমাদের চেয়ারম্যান। তার যুক্তিতে এই একটা মাসই তো মজার সময়। একটু মজা, খুঁনসুটি, পক্ষ-বিপক্ষ মতামত, ট্রলিং, ঝগড়া-ঝাটি; এসব যদি নাইবা থাকে তাইলে কিসের বিশ্বকাপ? কিসের ফুটবল মহাযজ্ঞ?

আসলেই তাই। যুক্তি আছে। প্রবাসে অবস্থানরত চাচাতো ভাইয়ের মুখেই তার সমাধান পেয়েছি। সেলসাওদের অন্ধভক্ত চাচাতো ভাই ফুটবলের ইতিহাস জান্তা না হলেও ফেসবুকে খই ফুটাচ্ছেন নিয়মিত। জানান দিচ্ছেন তার দলের প্রতি ভালোবাসা। প্রবাসে ব্যস্ততার মাঝেও ফেসবুকে তিনি কেন এতটা সময় দিচ্ছেন? হয়তো গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থের মায়াজালে নিজেকে কিছুটা খেই হারিয়ে প্রবাস জীবনের কষ্টটা ভুলতে চাচ্ছেন। শুধু কাজিন আর অফিসের উদাহারণ দিলে কম হয়ে যাবে। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিটি ঘরেই ফুটবলের আমেজ। প্রিয় দলকে সাপোর্ট দিচ্ছেন সবাই।

আর এটি সেই ১৯৩২ থেকে ২০১৮। সর্বপ্রথম উরুগুয়ের হাত ছুঁয়ে জামার্নিদের উড়ন্ত চুমুতে অতিমানবীয় কাব্য রচনা। মাঝপথে ব্রাজিলের সাম্বা নৃত্য, বরংবার ইতালির চোখ রাঙানি কিংবা ম্যারাডোনার ঈশ্বরের হাত, স্পেন-পর্তুগালের গোপন মারণাস্ত্র ‘টিকিটাকা’ মুগ্ধ করছে বিশ্বকে।

সুতরাং মজা করার সময় এখনই। একমাস পর তো আবার সেই বোরিং লাইফেই ফিরতে হবে সবাইকে।

তাই আসুন মজা করি। সেটা অবশ্যই মার্জিতভাবে।