নেইমারের ‘অভিনয়’ আর কান্না নিয়ে কেন এত কথা?

অবশেষে রাশিয়া বিশ্বকাপে প্রথম গোলের দেখা পেয়েছেন ব্রাজিল সুপারস্টার নেইমার। প্রথম ম্যাচে ড্র করলেও তার এবং কুতিনহোর অবদানে দ্বিতীয় ম্যাচে ২-০ গোলের দারুণ জয় পেয়েছে ব্রাজিল। কোস্টারিকার সাথে শুক্রবার রাতে খেলায় দারুণ খেলেছেন বিশ্বের দামী খেলোয়াড়। ইনজুরি টাইমে গোলও পেয়েছেন। কুতিনহো আর নেইমারের গোলে কোস্টারিকা তখন পরাস্ত ২-০ গোলে।

কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পর এগুলো নিয়ে আলোচনা হচ্ছে কমই। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। এর পরিবর্তে বরং আলোচনা হচ্ছে তার পড়ে যাওয়া, নাটক করা কিংবা শেষ বাঁশির পর কান্নার ঘটনাগুলো। কিন্তু এটি সত্যি পছন্দ করুন বা অপছন্দ করুন, এ মূহুর্তে বিশ্বের সবচেয়ে দামী এই খেলোয়াড়টিই এখন মানুষের আলোচনার বিষয়বস্তু।

এ নিয়ে দেশের পক্ষে ৮৭ ম্যাচে ৫৬ গোল করেছেন নেইমার। শুক্রবারের ম্যাচে ৯৭ মিনিটে ডগলাস কস্তার ক্রস থেকে ব্রাজিলের দ্বিতীয় গোলটি করেন তিনি। কিন্তু তার ওই অভিনয়ের কারণ কী? ম্যাচের ৮ মিনিটে কোস্টারিকার ডি বক্সে রক্ষণভাগের খেলোয়াড় গঞ্জালেজের সাথে তার কোন সংঘর্ষ হয়নি, কিন্তু নেইমার এমনভাবে পড়ে গেলেন যে মনে হলো বিরাট কিছু একটা হয়েছে।

রেফারিও বুঝতে পারেননি যে এটি ছিল নেইমারের অভিনয় মাত্র, ফলে বাঁশিও বাজালেন তিনি। কিন্তু তীব্র প্রতিবাদ আসলো কোস্টারিকার খেলোয়াড়দের কাছ থেকে। ফলে ভিএআরের সহায়তা নিলেন রেফারি। আর রিপ্লেতে দেখা গেলো রীতিমত নাটক করেই পড়ে গেছেন নেইমার, বাতিল হয়ে গেলো পেনাল্টির সুযোগ। এ নিয়ে মূহুর্তেই ইন্টারনেট দুনিয়া সরগরম হয়ে ওঠে।

আর খেলার সময় বাড়িয়ে দেয়া হয়েছিল ৬ মিনিট কিন্তু নেইমার তার গোল করলেন ৯৭ তম মিনিটে। কস্তার পাস থেকে বল পেয়ে কোস্টারিকার গোলকিপারকে পরাস্ত করেন তিনি। খেলা শেষের বাঁশি বাজালেন রেফারি। ব্রাজিল জিতেছে ২-০ গোলে। খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও সমর্থক সবাই উল্লাস করছে।

ঠিক সেই সময় নেইমার ভিন্ন একটি দৃশ্যের অবতারণ করলেন। বলা নেই কওয়া নেই হাঁটু গেড়ে মাটিতে বসে দু হাতে মুখ ঢেকে কাঁদতে শুরু করলেন তিনি। অথচ এটি বিশ্বকাপের ফাইনাল নয়, ছিল মাত্র গ্রুপ পর্যায়ের খেলা! পরে অবশ্য ইন্সটগ্রামে ছবি পোস্ট করে তিনি লিখেছেন, ‘কান্না ছিল আনন্দের ও জয় পাওয়ার কারণে।’ তারপরেও অনেকি মনে করছেন, নাটকীয়তা একটু বেশিই করে ফেলেছেন ব্রাজিল সুপারস্টার!