বিশ্বকাপের মঞ্চে আরও একবার ব্যর্থ লিওনেল মেসি। আরও একবার আর্জেন্টাইনদের হতাশায় ডুবিয়েছেন মূল ভরসা। ২০১৪ বিশ্বকাপে তবুও ফাইনাল অবধি পৌঁছেছিল দলটি, কিন্তু এবার তো একেবারে যাচ্ছেতাই অবস্থা। দুই ম্যাচে মাত্র এক পয়েন্ট, গ্রুপ পর্বেই বাদ হওয়ার সম্ভাবনা। দলের এই পরিণতির কারণ কি শুধুই মেসি? মেসির দোষ থাকুক বা না থাকুক, আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে মেসিকে আর দলে দেখতে চান না দেশটির অনেকেই!
২০১৬ কোপা আমেরিকার ফাইনালে চিলির সঙ্গে টাইব্রেকারে হেরে যাওয়ার পর হতাশায় নিজেই অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তবে সে অভিমান ধরে রাখতে পারেননি। দেশটির প্রেসিডেন্ট নিজেই মেসিকে ফেরার জন্য অনুরোধ করেছিলেন। তবে এবার কিন্তু ঘটনা একেবারে উল্টো। এবার বরং সবাই চাইছে মেসি যেন বিশ্বকাপের পরপরই অবসর নিয়ে নেন।
গতকাল ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হারার পর আর্জেন্টিনার দ্বিতীয় রাউন্ডে যাওয়া না যাওয়া এখন পুরোটাই নির্ভর করছে গ্রুপের অন্য দলগুলোর ওপর। আর্জেন্টিনা সর্বশেষ গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়েছিল ২০০২ সালে। যদিও বাছাইপর্বে দুর্দান্ত খেলে আর্জেন্টিনা সেবার ছিল টপ ফেবারিট। ২০০২ সালের পর এবারও আর্জেন্টিনায় লেগেছে শনির দশা। এবার বাছাইপর্ব পেরোতেই নাকানি–চুবানি খেতে হয়েছে মেসিদের। তাই বলে গ্রুপ পর্বেও এমন হাল?
ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে এমন ম্যাচের পর আর্জেন্টাইনরা তাই ভালোই চটেছেন। দেশটির জনপ্রিয় সাংবাদিকেরাও একেবারে ধুয়ে দিয়েছে আর্জেন্টিনা দলকে। তবে সবচেয়ে বেশি রোষানলে পড়েছেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি। কেন নয়? পুরো ম্যাচে ক্রোয়েশিয়ার পোস্টে মেসি শট নিয়েছেন কেবল একটি! মেসির নামের পাশে এ যে বড্ড বেশি বেমানান। তিনি যে শুধু কালকের ম্যাচেই নিষ্প্রভ ছিলেন তা নয়, প্রথম ম্যাচেও আইসল্যান্ডের বিপক্ষে পেনাল্টি মিস করায় নিশ্চিত জয় হাত থেকে ফসকে গেছে আর্জেন্টিনার।
দেশের জার্সি গায়ে মেসির এমন সব ভুল যেন আর সহ্যই হচ্ছে না আর্জেন্টাইনদের। তাই আর্জেন্টিনার অভিজ্ঞ সাংবাদিক ফার্নান্দো নিয়েম্ব্রো জানিয়েই দিয়েছেন, ‘বার্সেলোনার জার্সি গায়ে মেসি যেমন খেলেন, তার কানাকড়িও আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে খেলেন না। মেসির এখন অবসর নিয়ে নেওয়া উচিত। ওর দেশকে দেওয়ার মতো আর কিছু নেই।’