সিরিয়ায় হামলার ভুয়া প্রমাণ উপস্থাপন করেছে আমেরিকা: রাশিয়া

রাশিয়া বলেছে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা ভুয়া তথ্যপ্রমাণ উপস্থাপন করে সিরিয়ার বেসামরিক জনগণের ওপর রাসায়নিক হামলার জন্য দেশটির সরকারকে দায়ী করেছে।

রুশ সেনাবাহিনীর রাসায়নিক ও জীবাণু অস্ত্র সুরক্ষা ইউনিটের কমান্ডার মেজর জেনারেল ইগোর কিরিল্লোভ এ মন্তব্য করেছেন। খবর পার্সটুডে’র।

তিনি আজ মস্কোয় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও তাদের মিত্ররা আন্তর্জাতিক সমাজকে বিভ্রান্ত করেছে…। তারা ভুয়া তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অভিযোগ করেছে যে, সিরিয়া সরকার রাশিয়ার সহযোগিতায় রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে।’

তিনি উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ না করেই সিরিয়ার কথিত রাসায়নিক হামলা সম্পর্কে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার জন্য রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থা ওপিসিডাব্লিউকে দায়ী করেন। জেনারেল কিরিল্লোভ বলেন, রাসায়নিক হামলার কথিত স্থানে বিশেষজ্ঞ দল না পাঠিয়ে ভিন্ন সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যপ্রমাণকে পুঁজি করে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে ওপিসিডাব্লিউ।

সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের অদূরে পূর্ব ঘৌতা এলাকার দুমা শহরে গত ৭ এপ্রিল রাসায়নিক হামলা চালানো হয় বলে পাশ্চাত্য সমর্থিত জঙ্গিরা দাবি করে। ওই সন্দেহভাজন হামলায় অন্তত ৬০ ব্যক্তি নিহত ও অপর এক হাজারের বেশি লোক আহত হয়।

পশ্চিমা দেশগুলো কোনো প্রমাণ উপস্থাপন ছাড়াই তাৎক্ষণিকভাবে ওই হামলার জন্য সিরিয়া সরকারকে দায়ী করে। দামেস্ক ওই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানায়, পূর্ব ঘৌতায় সরকারি বাহিনীর অগ্রাভিযান প্রতিহত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসীরা নিজেরাই রাসায়নিক হামলা চালিয়ে সরকারের কাঁধে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে।

ওই ঘটনার পর আমেরিকা, ব্রিটেন ও ফ্রান্স সিরিয়ায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় যা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে প্রত্যাখ্যান করে রাশিয়া।