গ্যালারীতে অঝোরে কাঁদলেন ম্যারাডোনা

বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে বিধ্বস্ত করে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে ক্রোয়েশিয়া। ম্যাচের ৮০ মিনিটে অসাধারণ নৈপুণ্যে আর্জেন্টাইন রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে ক্রোয়েশিয়ার মিডফিল্ডার লুকা মদ্রিচ অসাধারণ গোল করেন।

রিয়াল মাদ্রিদের এ তারকা লুকা মদ্রিচের করা এ শটটি ফুটবল বিশ্ব অনেক দিন মনে রাখবে। আর ইনজুরি টাইমের প্রথম মিনিটে লক্ষ্যভেদ করে শেষ পেরেকটি ঠুকেন মেসির বার্সা সতীর্থ ইভান রাকিটিচ। এসময় টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, কিংবদন্তি ফুটবলার দিয়াগো ম্যারাডোনা তার উত্তরসূরীদের এমন লজ্জাজনক পরিণয় দেখে গ্যালারিতে কাঁদছেন। দুই হাত দিয়ে চোখ মুছছেন।

প্রসঙ্গত, আর্জেন্টিনার বাঁচা-মরার লড়াইয়ে জয় তো দূরের কথা কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাও গড়ে তুলতে পারেনি সাবেক বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন এ দলটি। শেষ পর্যন্ত ৩-০ গোলের হারে মাঠ ছাড়তে হয় আলবিসেলেস্তেদের।

এর আগে নিঝনি নভোগরদ স্টেডিয়ামে শুরুটা আক্রমণাত্মক করে আর্জেন্টিনা। শুরু থেকেই নিজেদের দখলে বল রেখে একের পর এক আক্রমণ চালায় মেসিরা। মাঠ সরব হয় আর্জেন্টাইন সমর্থকদের উচ্ছ্বাসে। মেসিরা বেশ কয়েকটি ভালো সুযোগ পেলেও কোনো কাজে লাগাতে পারেনি। ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায় সবচেয়ে বড় সুযোগ পান এনজো পেরেজ। কিন্তু ফাঁকায় বল পেলেও জালে জড়াতে পারেননি তিনি।

এবার পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ক্রোয়েশিয়া। মিনিট তিনেক পর কাউন্টার অ্যাটাকে দারুণ সুযোগ তৈরি করে ক্রোয়েশিয়া। কিন্তু মারিও মানজুকিচের ব্যর্থতায় সাফল্যের মুখ দেখেনি দলটি। ক্রোয়াটরা সবচেয়ে বড় সুযোগ পায় বিরতির খানিক আগে। গোলরক্ষককে একা পেয়েও ঠিকানায় বল পাঠাতে পারেননি রেবিক। বিরতির পর যেন দায়ই শোধ করেন তিনি। ৫৩ মিনিটে নিশানাভেদ করে ক্রোয়েশিয়াকে লিড এনে দেন রেবিক।

অবশ্য এর খানিক আগেই সুবর্ণ সুযোগ পায় আর্জেন্টিনা। নিকোলাস তাগলিয়াফিকোর অ্যাসিস্ট পান সার্জিও আগুয়েরো। আরামসে মিস করেন তিনি।

আর্জেন্টাইন সমর্থকদের সবচেয়ে বেশি হতাশ করেছে গোলরক্ষক ও রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা। ক্রোয়েশিয়ানদের মুহুর্মূহু আক্রমণে তারা ছিলেন অনেকটা অগোছালো। আর বিশ্ব ফুটবলের বিস্ময়কর তারকা লিওনেল মেসিও ছিলেন অনেকটা নিষ্প্রভ।যার কারণে শোচনীয় হার নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায়ের শংকা বেজে উঠেছে।