জাদুহীন ছিলেন ‘জাদুকর’ মেসি!

রাশিয়া বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল আইসল্যান্ডের কাছে পয়েন্ট ভাগাভাগি করে চরম বেকায়দায় পড়েছে আর্জেন্টিনা। ওই ম্যাচে পেনাল্টি মিস করে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন লিওনেল মেসি। দ্বিতীয় খেলায়ও ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ৩-০ গোলে হেরে গেছে মেসির আর্জেন্টিনা।

যে মেসির জাদু দেখার জন্য অপেক্ষা করছিল সারাবিশ্ব, সেই মেসিই পুরো খেলায় ছিলেন জাদুহীন। কোন চমকই দেখাতে পারেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত ক্রোয়েশিয়ার সাথে হেরে ভক্তদের কাঁদিয়ে মাঠ ছাড়লেন বিশ্বের সেরা ফুটবলার মেসি।

অন্যদিকে অবশেষে ক্রোয়েশিয়ার কাছে হেরে গেল মেসির আর্জেন্টিনা। ক্রোয়েশিয়ার কাছে ২-০ গোলে হেরেছে তারা। খেলার প্রথমার্ধে উভয় দল গোল ছাড়াই বিরতিতে যান। তবে বিরতি থেকে ফিরেই আর্জেন্টাইন গোলকিপারের ভুলে ৫২ মিনিটে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া। এরপর একাধিকবার উভয় দল গোল করার সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারেনি। তবে খেলার ৮০ মিনিটে ক্রোয়েশিয়া অধিনায়কের গোলে ২-০ গোলে আরও এগিয়ে যায় তারা। এরপর খেলার ৯০ মিনিটে ৩-০ গোলে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে ক্রোয়েশিয়া।

আর্জেন্টিনা হেরে যাওয়ার মাঠে খেলা দেখতে আসা অনেক ভক্ত কেঁদেছেন। হতাশা নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা। ভক্তদের খুশি করতে পারলেন না মেসি। এদিকে বিশ্বকাপের শেষ ষোলতে যাওয়া অনেকটা অনিশ্চিত। এখন অন্য দলের জয়-পরাজয়ের ওপর তাকিয়ে থাকতে হবে আর্জেন্টিনাকে।

অন্যদিকে বিশ্বকাপ শুরুটা ভালো করতে পারে নি আর্জেন্টিনা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে দুর্বল আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলের ড্র নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় দুইবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের। ফলে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠতে হলে আজ ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে জয় দরকার ছিল আর্জেন্টিনার। আজকের ম্যাচের শুরু থেকেই ভালো খেলছিল আর্জেন্টিনা। পাশাপাশি সমান তালে খেলে গেছে ক্রোয়েশিয়াও। তবে প্রথমার্ধে গোল করতে পারেনি কোন দল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে খেলার ৫১ মিনিটে গোল করে এগিয়ে যায় ক্রোয়েশিয়া।

খেলার ২৯ মিনিটে সহজ গোলের সুযোগ পেলেও কাজে লাগাতে পারে নি আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে খেলা শুরুর চার মিনিটের মাথায় একটি গোল করার সুযোগ পায় ক্রোয়েশিয়া কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি।

আর্জেন্টিনা একাদশ: কাবাল্লেরো, ওতামেন্দি, সালভিও, মার্কাদো, তাগলিয়াফিকো, মাশ্চেরানো, পেরেজ, আকুনিয়া, মেসি, মেজা ও আগুয়েরো।

ক্রোয়েশিয়া একাদশ: সুবাসিচ, স্ট্রিনিচ, ভিদা, ভ্রাসালকো, লভরেন, ব্রজোভিচ, মদ্রিচ, রাকিতিচ, আনতে রেবিক, মানজুকিচ ও পেরেসিচ।

উল্লেখ্য, ক্যারিয়ারের অনেক উত্থান পতনের ভেতরের দিয়ে গেছেন বার্সেলোনার এই তারকা। নিজের খারাপ সময়ে পেয়েছেন সতীর্থসহ পরিবারের সবাইকে। ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৬ সালে তিনটি মেজর টুর্নামেন্টের ফাইনালে হেরে জাতীয় দল থেকে হতাশায় অবসর নেন মেসি। দলের খারাপ সময়ে আবারো হাল ধরেন আর্জেন্টিনার। তুলেন বিশ্বকাপের মঞ্চে। সে কারণে, পুরো বিশ্বের কোটি কোটি সমর্থকের মন থেকে চাওয়া, আজ অন্তত মেসি জ্বলে উঠুক। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারলেন না তিনি।