বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেয়ার প্রক্রিয়া স্থগিত করেছে মালয়েশিয়া। অভিবাসী কর্মী নিয়োগে দুই দেশের এজেন্ট কোম্পানিসহ অনেকজন কর্মী মানবপাচারের সঙ্গে জড়িত- এমন তথ্য পাওয়ার পর এই সিদ্ধান্ত নিলো দেশটির সরকার।
দীর্ঘদিন পর সম্প্রতি মালয়েশিয়ার ক্ষমতায় ফিরেন দেশটির আধুনিকায়নের জনক মাহাথির মোহাম্মদ। শেষ বয়সে আবারও ক্ষমতায় এসে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে বেগ পেতে হচ্ছে তাকে। সাবেক নাজিব রাজাক সরকারের ব্যাপক দুর্নীতির বিচারসহ সবক্ষেত্রে দুর্নীতির প্রভাবমুক্তির কাজে হাত দিয়েছেন তিনি। এরই অংশ হিসেবে এই সিদ্ধান্ত নিলেন মাহাথির। এ খবর দিয়েছে মালয় গণমাধ্যম স্টার অনলাইন।
মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী এম কুলাসেগারা বিষয়টি নিশ্চিত বলেছেন, বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগে আগের পদ্ধতিতে ফিরে না যাওয়া পর্যন্ত আবেদন প্রক্রিয়া সরাসরি মালয়েশিয়ান সরকার নিয়ন্ত্রণ করবে। এছাড়া পূর্ণ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো এজেন্ট বা সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নেয়া হবে না।
এম কুলাসেগারা জানিয়েছেন, অভিবাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগ উঠায় তা নিয়ে পূর্ণ তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ বলবৎ থাকবে।
নাজিব রাজাক প্রসাশনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে তিনি বলেন, পূর্ববর্তী প্রশাসন নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপকারের লক্ষ্যে এবং ব্যবসা হিসেবে পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া পরিচালনা করেছিল।
এ প্রক্রিয়াটিকে ‘জগাখিচুড়ি’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, এই পদ্ধতি ও দুর্নীতির কারণে অভিবাসী কর্মীদের মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশের কিছু্ লোককে অতিরিক্ত অর্থ দিতে হতো। দশটি কোম্পানির বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ায় অভিবাসী কর্মী নিয়োগে দুর্নীতির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে এবং এসব কোম্পানি বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেয়া হয়েছে।
তদন্ত করে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিভিন্ন পর্যায়ে আলোচনা করছি। আশা করি খুব দ্রুত এ সমস্যার প্রকৃত কারণ খুঁজে পেয়ে সমাধান সম্ভব হবে।