গুজব নাকি সত্য ,খালেদার মামলা থেকে সরে যাচ্ছেন মাহবুব? অবশেষে জানা গেল আসল কারণ

বেগম খালেদা জিয়ার মামলার দায়িত্ব থেকে কি সরে যাচ্ছেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন? আজ দিনভর আদালতে এ নিয়ে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছে। হাইকোর্টে বেগম জিয়ার আপিল শুনানি নিয়ে বেগম জিয়ার আইনজীবীদের নির্ধারিত বৈঠকে উপস্থিত না হওয়ার পর হাইকোর্ট চত্বরে এই গুজব ছড়িয়ে পড়ে। খন্দকার মাহবুব হোসেন অবশ্য এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

যোগাযোগ করা হলে প্রবীণ আইনজীবী জানান, ‘যথাসময়ে দেখবেন, আমি আছি কি নেই।’বিএনপির সূত্রে জানা গেছে, রোজার মধ্যেই বেগম জিয়ার জামিন প্রশ্নে খন্দকার মাহবুবের সঙ্গে অন্য আইনজীবীদের মত-পার্থক্য শুরু হয়। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন মনে করেন, আইনি প্রক্রিয়ায় বেগম জিয়ার মুক্তি অসম্ভব ব্যাপার। এজন্য তিনি প্যারোলের উদ্যোগ গ্রহণের পক্ষে মত রাখেন।

প্যারোল হলো সরকারের ইচ্ছাধীন একটি মুক্তি প্রক্রিয়া। কিন্তু খন্দকার মাহবুবের এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদীন। তিনি বলেন,’এটা খন্দকার মাহবুব হোসেনের নিজস্ব বক্তব্য।‘ তিনি বলেন,’ আইনি প্রক্রিয়াতেই আমরা বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনবো।‘ প্রকাশ্যে তাঁর বক্তব্যের বিরোধিতা করায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন প্রবীণ এই আইনজীবী
এরপর থেকেই বেগম জিয়ার মামলার কার্যক্রমে থেকে নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছেন বলে জানা গেছে।এদিকে, এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম জিয়ার আপিলের শুনানি খুব শিগগিরিই শুরু হবে। আপিল বিভাগ ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই মামলা নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছে। অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এই মামলার প্রধান কৌসুলি। তিনি এখন এই মামলায় থাকবেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।-বাংলা ইনসাইডার

খালেদা জিয়ার মুক্তির পরিবর্তে এভাবে নিজেদের মধ্যে এরকম মতবিরোধ নিয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র অসোন্তষ দেখা দিয়েছে ।এই মুহূর্তে কি এভাবে বিবাধে জড়ানো সঠিক ?এই প্রশ্ন ও অনেকে তুলছেন । খালেদা জিয়া গ্রেপ্তারের পূর্বে এই আইনজীবীদের বক্তব্য ছিল বেশি হইলে ৭ দিন লাগবে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে । অনেকে প্রশ্ন তুলছেন সেই ৭ দিন কি এখনো শেষ হয়নি ?