তিউনিসিয়ার বিপক্ষে ২-১ গোলে জিতে ইংলিশ ফুটবলারদের ছুটিই দিয়ে দিয়েছিলেন কোচ গ্যারেথ সাউথগেট। গোটা বুধবার তাঁরা নিজেদের মতো করে কাটিয়েছেন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে। রেপিনোতে ইংল্যান্ড দলের বেস ক্যাম্পে নিজেও ছুটির মুডে ছিলেন তিনি। সকালে ঘুম থেকে উঠেই গিয়েছিলেন জগিং করতে। এই ফাঁকে নিজের জগিংয়ের রেকর্ডটা ভাঙার ইচ্ছে হলো তাঁর। আগে একবার ১০ কিলোমিটার জগিং করে রেকর্ডটা করেছিলেন। কিন্তু বিধি বাম। জগিং করতে গিয়ে হুমড়ি খেয়ে পড়ে কাঁধের হাড় সরিয়ে ফেলেছেন সাউথগেট
ব্যাপারটা দুর্ভাগ্যজনক হলেও সাউথগেট এটিকে নিয়েছেন রসিকতার ছলেই, ‘আমি বোধ হয় কিছুদিন গোলের পর হাত-পা ছুড়ে উল্লাস করতে পারব না। দলের চিকিৎসক রব চক্রবর্তী আমাকে এমনটাই বলেছেন।’
সাউথগেট বরং দলের স্টাফদের ব্যাপারে চিন্তিত, ‘দেখুন তো ব্যাপারটা কেমন হলো। আমি আজকে সবাইকে ছুটি দিয়েছিলাম। মেডিকেল স্টাফদেরও ছুটি ছিল। আমি এই কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলায় ওদের ছুটিটা মাটি হয়ে গেছে। কোনো মানে হয়!’
ইংলিশ কোচ নিজের চোটটাকে দেখছেন অন্যভাবেই। বিশ্বকাপ ইতিহাসে খুব সম্ভবত তিনিই প্রথম কোচ, যিনি চোটে পড়েছেন। এই চোটে খেলোয়াড়দের ওপর দিয়ে চোটের ফাঁড়াটা সরে যাবে বলেই জানিয়েছেন সাউথগেট, ‘যাক বাবা, বাঁচা গেল। আমার ওপর দিয়েই গেছে পুরো ব্যাপারটা। খেলোয়াড়দের চোট নিজেই নিয়ে নিয়েছি। ওরা অবাক। ক্যাম্পে ফিরেই আমার এই অবস্থা দেখে জিজ্ঞেস করেছে, “কী করছিলে তুমি!”’
সাউথগেটের আফসোস নিজের রেকর্ডটা নতুন করে লিখতে পারলেন না বলে, ‘আমি চেয়েছিলাম, সবচেয়ে কম সময়ে দৌড়ে আমি আগে গড়া ১০ কিলোমিটারের রেকর্ডটা ভেঙে দেব। কিন্তু সেটা করতে পারলাম না। আফসোস এটিই।’ বুধবার রাতে কাঁধে স্লিং ঝুলিয়েই টিম মিটিংয়ে বসেছিলেন তিনি। খেলোয়াড়দের জন্য এটিও নতুন এক অভিজ্ঞতা।’
২৪ জুন রোববার ইংল্যান্ডের খেলা পানামার সঙ্গে, নোভগোরাদে।