কয়েক লাখ টাকা দিয়ে সৌদি আরব যাওয়ার পর ‘প্রতারক চক্রের হাতে গোপন স্থানে অবরুদ্ধ’ হয়ে আছেন মাগুরার দুই যুবক। এখন সেখান থেকে কথিত প্রতারক চক্র আরও টাকা দাবি করছে বলে তাদের পরিবারের সদস্যরা সংবাদিকদের জানান।
এ দুই যুবক হলেন মহম্মদপুর উপজেলার তল্লাবাড়িয়া গ্রামের দুদু মোল্যার ছেলে জালাল মোল্যা ও একই এলাকার বক্কার শেখ।
দুদু মোল্যা বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, তল্লাবাড়িয়া গ্রামের মোকসেদ ফকিরের ছেলে দিলু ফকির পাঁচ মাস আগে পাঁচ লাখ টাকার চুক্তিতে তার ছেলে জালালকে রিয়াদে নিয়ে যায়। একই সময়ে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে বক্কারকেও রিয়াদে নিয়ে যায়।
“কিন্তু রিয়াদে নিয়ে তাদেরকে কাজ না দিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখে এবং পরিবারের সদস্যদের কাছে আকামার জন্য আরও টাকা দাবি করে।”
বক্কার শেখের মেয়ে তন্নী বেগম কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তার বাবার সঙ্গে মাঝে মাঝে ফোনে কথা হচ্ছে। সেখানে তার বাবা খুবই কষ্টের মধ্যে আছেন বলে জানিয়েছেন। প্রায়ই তাকে মারধর করে বাড়ি থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়ে যেতে বলা হচ্ছে।
“দিলু নিজে বাংলাদেশে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে তাকে রিয়াদে নিয়ে গেছে। এখন আকামার জন্যে অতিরিক্ত দেড় লাখ টাকা দাবি করছে।”
বক্কার শেখ বক্কার শেখ মোবাইল ফোনে রেকর্ডকৃত জালালের বক্তব্যে জানা যায়, রিয়াদ শহরের সমুতি হাসপাতালের কাছে একটি বাড়িতে জালাল ও বক্কারকে আটকে রেখেছে দিলু ফরিক ও তার লোকজন। মাঝে মধ্যে তাদের মারধর করা হয়। এছাড়া মোবাইলে পরিবারের সদস্যদের কাছে অতিরিক্ত টাকা এনে দেওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে। তাদের পাসপোর্ট ও অন্যান্য কাগজপত্র তারা নিয়ে নিয়েছে।
জালাল মোল্যা আরও অভিযোগ করেন, এ বিষয়ে কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করতে গেলেই তাদেরকে মারধর করছে দিলু ফকির ও অন্যরা। এমনকি ঘরের মধ্যে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরে অগ্নিকাণ্ড বলে চালিয়ে দেওয়া হবে বলে হুমকি দিচ্ছে।
ভয়ে পরিবারের সদস্যরা বাংলাদেশে আইনের আশ্রয় নিতে সাহস পাচ্ছেন না বলে জানান জালাল মোল্যা।
এ ব্যাপারে দিলু ফকিরের বাবা মোকছেদ ফকির বলেন, “জালাল ও বক্কারের পরিবারের সদস্যদের আগ্রহেই বৈধ পাসপোর্ট ও ভিসার মধ্যমে রিয়াদে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখন কাজ পেতে একটু বিলম্ব হওয়ায় তাদের পরিবার এসব অভিযোগ তুলছে।”