ত্রিপল নাইনে ফোন দেন এলাকার এক ব্যক্তি। ওই ফোনের জেরেই স্থানীয় থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে প্রবাসীর স্ত্রীর সাথে আপত্তিকর অবস্থায় আটক করে ইউপি চেয়ারম্যানকে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে প্রবাসীর স্ত্রীসহ চেয়ারম্যানকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন পুলিশ।
আটক চেয়ারম্যানের নাম আব্দুল লতিফ। তিনি কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পরপর দুই বারের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অর্থবিষয়ক সম্পাদক। এ খবর দিয়েছে দেশের একটি জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, একই ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের প্রবাসী সবুজ মিয়ার স্ত্রীর সঙ্গে পরকিয়া প্রেমে জড়িয়ে যান চেয়ারম্যান লতিফ। প্রথমত কয়েক মাস তারা গোপনে মেলামেশা করলেও সম্প্রতি দিনের বেলায় একে-অপরের বাড়িতে আসা-যাওয়া করলে এলাকার লোকজনের নজরে আসেন তারা। আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টায় প্রাবাসীর স্ত্রী ও চেয়ারম্যান লতিফ বাড়ির একটি কক্ষে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হলে স্থানীয় লোকজন বাড়ির চারপাশ ঘিরে রেখে ত্রিপল নাইনে ফোন দিলে তার কিছু সময় পর স্থানীয় থানা পুলিশ তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করে মুরাদনগর থানায় নিয়ে আসে।
চেয়ারম্যান লতিফের পরিবারের লোকজনের সাথে যোগাযোগ করে জানা যায়, তার স্ত্রী ও সন্তান চট্টগ্রাম জেলা শহরে বাস করেন। সেই সুবাদে চেয়ারম্যান লতিফ বাড়িতে একাই থাকেন।
প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, পুলিশের গাড়িতে তোলার সময় চেয়ারম্যান লতিফের কাছে এই বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুরাদনগর উপজেলা আওয়ামী লীগ দুই গ্রুপে বিভক্ত। একটি গ্রুপের প্রতিনিধিত্ব করেন বর্তমান এমপি আরেকটি গ্রুপের প্রধান কুমিল্লা উত্তর জেলার আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার। আমি জাহাঙ্গীর আলম সরকারের গ্রুপ করাতে আমাকে যড়যন্ত্র করে ফাঁসিয়ে দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য ও উপজেলা আওয়মী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি জাকির হোসেন বলেন, চেয়ারম্যান লতিফ রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের পরপর দুই বার নির্বাচিত জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি হয়েছেন চেয়ারম্যান লতিফ।
এ ব্যাপারে মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ একে এম মনজুর আলম বলেন, ত্রিপল নাইন থেকে আমরা একটি ফোন পাই চেয়ারম্যান লতিফ এক নারীকে নিয়ে তার এলাকায় একটি কক্ষে আছেন এবং এলাকাবাসী তাকে ঘিরে রেখেছেন। ঘটনাস্থলে গিয়ে আমরা দেখতে পাই অনেক লোকজনের সমাগম। চেয়ারম্যান যে নারীকে নিয়ে আপত্তিকর অবস্থায় ছিলেন তাকে সে স্ত্রী পরিচয় দেন। কিন্তু তার স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি চেয়ারম্যান। প্রবাসীর স্ত্রী তার স্বামীকে তালাক দেওয়ার কাগজও দেখাতে পারেনি। তাই তাদেরকে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে আটক করে মামলা দিয়ে জেলহাজতে প্রেরণ করেছি।