মুসলিম মিসরীয় গোলরক্ষক মোহাম্মদ এল-শেনাউই ঈমানদারি আচরণে সারা পৃথিবী হতবাক মিডিয়াতে ব্যাপক তোলপাড়!

বক্সের বাইরে থেকে কাভানির দুর্দান্ত শট বাঁচিয়ে দেয়া হোক, কিম্বা দু-দু’বার একের বিরুদ্ধে এক পরিস্থিতিতে লুই সুয়ারেজকে আটকে দেয়া। উরুগুয়ে ম্যাচের পর শিরোনামে এসেছিলেন মিসরের গোলকিপার মোহাম্মদ এল-শেনাউই। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে দলকে এক পয়েন্টের দোরগোড়ায় এনে দিয়েছিলেন তিনি, শেষরক্ষা অবশ্য হয়নি। তাতে কী, একঝাঁক দুর্দান্ত সেভ করা মিসরের হিরোকেই ম্যান অফ দ্য ম্যাচ হিসেবে বেছে নেয়া হয়।

কিন্তু ম্যান অফ দ্য ম্যাচের সেই ট্রফি নিতে চাইলেন না মোহাম্মদ এল-শেনাউই। ম্যাচের সেরা হওয়ার সম্মান তিনি প্রত্যাখ্যান করলেন সবিনয়ে। কিন্তু কেন এই সিদ্ধান্ত।? পরে জানা গেল, ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ ট্রফিটির গায়ে একটি বিখ্যাত অ্যালকোহল প্রস্তুতকারী সংস্থার লোগো লাগানো ছিল।

কিন্তু আদ্যপান্ত ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী শেনাউই অ্যালকোহল সংস্থার লোগো লাগানো ট্রফিটি নিতে অস্বীকার করেন। ইসলাম ধর্মের রীতি অনুযায়ী, মদ্যপান ‘হারাম’। তাই রমজান মাস চলাকালীন একজন মুসলিম ফুটবলারকে কেন অ্যালকোহল সংস্থার লোগো লাগানো ট্রফি দেয়া হলো তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে।

এই সংস্থাটিই এবার ফিফা বিশ্বকাপের অফিসিয়াল স্পনসর। গোটা বিশ্বকাপে দলগুলোর প্রয়োজনীয় অ্যালকোহল সরবরাহ করার দায়িত্ব সংস্থাটির হাতেই। প্রতিটি স্টেডিয়ামেও বড় করে লাগানো হয়েছে সংস্থাটির লোগো। সংস্থাটির তৈরি অ্যালকোহল বিক্রি করা হচ্ছে স্টেডিয়ামের সরকারি আউটলেটে, এমনকি ফ্যানজোনেও বিক্রি হচ্ছে সংস্থাটির অ্যালকোহল।

এতে বেজায় চটেছেন বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী সাতটি মুসলিম প্রধান দেশের সমর্থকরা। তাদের দাবি, অ্যালকোহল সংস্থার সঙ্গে সমস্ত সম্পর্ক ছিন্ন করা উচিত ফিফার।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি খেলা চলাকালীন সতীর্থদের রোজা ভাঙানোর জন্য চোট লাগার নাটক করে শিরোনামে এসেছিলেন তিউনিশিয়ার গোলকিপার।
এক্ষেত্রে অবশ্য, মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছে নেটদুনিয়া। কেউ কেউ শেনাউইর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করছেন, আবার কেউ কেউ বলছেন এভাবে ম্যাচের সেরা হওয়ার পুরস্কার প্রত্যাখ্যান না করলেও পারতেন মিসরের গোলকিপার।