ইয়েমেনি সেনাদের হাতে সৌদি জোটের ১৬০ সেনা আটক ও ৫০ সেনা নিহত !!

ইয়েমেনের সেনারা এখনো হুদায়দা শহর নিয়ন্ত্রণ করছে বলে বিবৃতি প্রকাশের পর সৌদি জোটের সেনাদের আটকের খবর দিলেন আলী ইমদাদ। এসব সেনা হুদায়দা শহরের বিভিন্ন স্থানে হামলার চেষ্টা করেছিল।

হুদায়দা সমুদ্রবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য তিনদিন আগে সৌদি জোট ব্যাপক হামলা শুরু করেছে। তবে ইয়েমেনের হুথি যোদ্ধা ও তাদের অনুগত সেনারা শত্রুদের হামলা মোকাবেলা করে আসছে। হুদায়দা বিমানবন্দর দখলের বিষয়ে গতকাল সৌদি জোট দাবি করলে তা নাকচ করেছে হুথিরা।

আটকে গেছে সৌদি বাহিনী; নিহত ৫০
ইয়েমেনের জনপ্রিয় হুথি আনসারুল্লাহ আন্দোলনের যোদ্ধারা সৌদি সেনাদের হাতে হুদায়দা বিমানবন্দর পতনের খবর নাকচ করেছে। তারা বলেছে, আগ্রাসীরা বরং হুদায়দা শহরের আশপাশে আটকে গেছে এবং তারা সব ফ্রন্ট থেকে পালিয়েছে।

হুথি আন্দোলনের মুখপাত্র মুহাম্মাদ আবদুস সালাম লেবাননের আল-মায়াদিন টেলিভিশন চ্যানেলকে এসব কথা বলেছেন। তিনি বলেন, সৌদি জোটের জন্য শক্তিক্ষয়ের যুদ্ধ অপেক্ষা করছে এবং তারা তা রুখতে পারবে না। তিনি বলেন, হুদায়দা যুদ্ধে সৌদি জোট জিততে পারবে না।

হুদায়দা বন্দর হুথি যোদ্ধাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং এ বন্দর দিয়েই আন্তর্জাতিক ত্রাণ সহায়তা ইয়েমেনে যায়। কিন্তু সৌদি জোট দাবি করছে হুদায়দা বন্দর দিয়ে অস্ত্রের চালান আনে হুথি যোদ্ধারা।

হুথি হামলায় সৌদি জোটের একটি যুদ্ধযান পুড়ছে
এ অজুহাত তুলে বন্দরটির নিয়ন্ত্রণ নেয়ার চেষ্টা করছে সৌদি ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সেনারা। সেখানে ইয়েমেন যুদ্ধের সবচেয়ে বড় সংঘর্ষ হতে যাচ্ছে বলে আশংকা করা হচ্ছে। সৌদি জোটের সেনা ও ভাড়াটে সন্ত্রাসীদের সহায়তার জন্য সৌদি আরব হুদায় বন্দর এলাকায় োববার অন্তত পাঁচ দফা বিমান হামলা চালিয়েছে।

এদিকে, ইয়েমেনের সামরিক সূত্র জানিয়েছে, সৌদি সমর্থিত অন্তত ৫০ জন সেনা এ পর্যন্ত নিহত হয়েছে এবং তাদের ১৩টি যুদ্ধযান ধ্বংস হয়েছে। এছাড়া, হুদায়দা উপকূলে ফ্রান্স অথবা আমেরিকার একটি জাহাজ আটক করেছে হুথি যোদ্ধারা।