ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবলকে বলা হয় ‘দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ’। রাশিয়ার মস্কোতে লুজনিকি স্টেডিয়ামে পর্দা উঠছে এবারের আসরের। বিশ্বের ৩২টি দেশের খেলোয়াড়, কোচ, স্টাফ ও গণমাধ্যম কর্মীরা তো অবধারিতভাবেই থাকছেন এ মহাযজ্ঞে। সেই সঙ্গে প্রায় ৫ লাখ ভক্ত-সমর্থকও হাজির হবেন রাশিয়ায়। মাসব্যাপী এ আয়োজনে রাশিয়ার প্রতিটি শহর যেন সেজেছে নতুন রূপে। আর এরই মধ্যে আগত পর্যটকদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ার ক্ষেত্রে
রাশিয়ান নারী ও যুবতীদের সতর্ক করেছেন দেশটির পার্লামেন্টারি কমিটির প্রধান তামারা প্লেটনিওভা। তিনি দুমা নামে রাশিয়ান পার্লামেন্টের পরিবার, নারী ও শিশু বিষয়ক কমিটির প্রধান।
তামারা বলেছেন, এমন সম্পর্কে অসংখ্য শিশুর জন্ম হতে পারে, যাদের কোনো পিতৃপরিচয় থাকবে না। সৃষ্টি হবে ‘ব্রোকেন ফ্যামিলি’। অর্থাৎ পরিবারের পিতা থাকবেন এক দেশে। মা থাকবেন আরেক দেশে।
বুধবার এক সাক্ষাৎকারে তামারা আরও সতর্ক করে বলেছেন, এমন সব শিশু পরে ভয়াবহ মানসিক যন্ত্রণায় ভুগবে। সোভিয়েত যুগে এমনটা ঘটেছে। তিনি বলেছেন, ১৯৮০ সালে মস্কোতে অনুষ্ঠিত গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিকের পর এ ঘটনা দেখা দিয়েছিল। তাই রাশিয়ানরা যেন কোনো বিদেশীর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে না জড়ান সে জন্য এমন আহ্বান তার।
স্থানীয় গভোরিত মস্কভা রেডিওকে দেয়া সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, অনেক যুবতী বিদেশী অনেক পুরুষের সান্নিধ্য পাবেন। এ সময় তাদের মধ্যে যৌন সম্পর্ক গড়ে উঠবে। এর ফল হিসেবে তারা জন্ম দেবেন সন্তান। এমনও হতে পারে তারা বিদেশী নাগরিকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধও হতে পারেন। আবার এমনটা নাও হতে পারে। কিন্তু যা-ই ঘটুক, এভাবে জন্ম নেয়া শিশুরা দুর্ভোগ পোহাবে। যদি এক্ষেত্রে পুরুষ ও নারী দু’জনেই একই গোত্রের বা বর্ণের হন বা না হন, তাহলেও ওই সন্তান মানসিক যন্ত্রণা ভোগ করবে। অনেকেই বলে থাকেন রাশিয়া শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের জন্য এক উদার জমিন। সেখানে বিভিন্ন দেশ থেকে, বিভিন্ন বয়সের কয়েক লাখ ফুটবল ভক্ত গিজগিজ করছে এখন। কি হোটেল, কি এপার্টমেন্ট- সব জায়গায় শুধু বিদেশী আর বিদেশী। তাদেরকে মনোরঞ্জনের জন্য এরই মধ্যে গড়ে তোলা হয়েছে ‘সেক্স রোবটের’ পতিতালয়। কিন্তু এর বাইরে দেহপসারিণীরা সাজিয়েছেন পসরা। তারা এ সময়টাকে বাড়তি অর্থ উপার্জনের মওসুম হিসেবে দেখছেন।
আর যেসব বিদেশী রাশিয়ায় গিয়েছেন বা যাচ্ছে, তাদের সবাই যে শুধু ফুটবল যুদ্ধ ভোগ করতে যাচ্ছেন তা কেউ হলফ করে বলতে পারেন না। তাদের অনেকের মধ্যে চাড়া দিয়ে উঠবে আদিম নেশা। তা নিয়েই আতঙ্কিত তামারা। এ জন্যই তিনি রাশিয়ান নারী ও যুবতীদের সতর্ক করেছেন, যেন বিদেশীদের সঙ্গে তারা যৌন সম্পর্ক স্থাপন না করেন। তবে এক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা অবলম্বনের কথা তিনি উল্লেখ করেন নি।
উল্লেখ্য, ইউরোপে সবচেচয়ে বেশি এইচআইভির সংক্রমণ। বিশ্বে সবচেয়ে বেশি হারে এইচআইভিতে আক্রান্ত হচ্ছে এই দেশেই। যারা এ ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন তাদের অর্ধেকের বেশি অপ্রকৃত যৌন সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে।