ইরানের কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে বাধ্যতামূলক হিজাব পরতে হবে। ধর্ম ভিন্ন হলেও হিজাব বাধ্যতামূলক হওয়ায় এশিয়ান ন্যাশনাল কাপ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নিলেন ভারতীয় দাবাড়ু সৌম্যা স্বামীনাথন।আগামী ২৬ জুলাই থেকে ইরানে শুরু হবে এশিয়ান ন্যাশনাল কাপ দাবা। ইরানের নিয়মানুসারে দাবার মতো ইনডোর গেমেও মহিলাদের মাথা ঢেকে রাখতে হবে। আর হিজাব পরে খেলতে অনীহা ভারতীয় মহিলা গ্র্যান্ডমাস্টারের।
ভারতীয় দাবাড়ু সৌম্যা স্বামীনাথন জানান, এশিয়ান ন্যাশনাল কাপ দাবা চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নিজের নাম তুলে নেয়ায় রাজ্যের কাছে আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। কিন্তু আমি চাই না কেউ জোর করে আমায় বোরকা পরতে বাধ্য করুক। ইরানের এই আইন আমার স্বাধীনতা, চিন্তাধারা এবং ধর্মে হস্তক্ষেপ করছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে আমি ইরানের প্রতিযোগিতায় অংশ না নিয়ে নিজের অধিকারকেই সুনিশ্চিত করার পথে হাঁটব।
ভারতীয় এই দাবাড়ু আরও বলেন, খেলোয়াড়দের মানবাধিকার, পছন্দ-অপছন্দকে এখানে কোনো গুরুত্বই দেয়া হচ্ছে না। সেটা দেখে আমি বেশ হতাশ। আয়োজক হিসেবে তারা আশা করতেই পারে, যে প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী দলের জার্সি গায়ে প্রতিযোগিতায় বসবে। কিন্তু খেলার মধ্যে এভাবে ধর্মীয় পোশাককে বাধ্যতামূলক করা কখনোই উচিত নয়। কিছু বিষয় কখনও সমর্থনযোগ্য হয় না।
এর আগে একই কারণে ২০১৬ সালে এশিয়ান এয়ারগান শ্যুটিং চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন ভারতীয় শুটার হিনা সিধু।