চার বছর পর আবারো পর্দা উঠছে ফুটবল মহাযজ্ঞের। বছর, মাস, দিন পেরিয়ে রাশিয়া বিশ্বকাপের জন্য এখন ক্ষণ গণনা চলছে।চলুন এক নজরে বিশ্বকাপ ইতিহাসের কিছু মুহূর্তগুলো দেখে আসা যাক, যেগুলো ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।
ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়
ক্রিকেট, ফুটবল দুটোরই জনক ইংল্যান্ড। তবুও তারা কখনো ফেভারিটের তারিকায় থাকে না। ফুটবলে তো তবুও একবার শিরোপা জিতেছে ক্রিকেটে সোনালী ট্রফিটা উঁচিয়ে ধরা হয়নি ব্রটিশদের। ১৯৬৬ সালে ববি মুরের কল্যাণে একবারই শিরোপা জিতেছে ইংল্যান্ড।
পেলের গোল উদ্যাপন
১৯৭০ বিশ্বকাপটি ব্রাজিল এবং পেলে উভয়ের জন্যই ছিল তৃতীয় বিশ্বকাপ জয়। তবে ফাইনাল ম্যাচে ইতালির বিপক্ষে গোল করার পর এমন বাঁধ ভাঙা উল্লাসের আরেকটি কারণ কিন্তু ছিল। গোলটি ছিল ব্রাজিল দলের ১০০তম গোল। আর তা পেলের পায়ের ছোঁয়াতে হওয়াতেই এমন উল্লাস।
ঈশ্বরের হাত
১৯৮৬ বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে ম্যারাডোনার হাত দিয়ে গোল করাটা এখনো ব্রাজিলিয়ান ও ইংলিশ ভক্তদের মূল আলোচনা। ম্যারাডোনা অবশ্য মানতে রাজি নন তিনি হাত দিয়ে গোল করেছেন। এই কিংবদন্তির দাবি তাঁর হয়ে ঈশ্বরই গোল করিয়েছেন!
থুতু নিক্ষেপের খেলা
ফাইনাল ম্যাচ ছিল না, তবুও ম্যাচে উত্তাপের কমতি ছিল না সেদিন। বলছি, ১৯৯০ বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডের নেদারল্যান্ডস-জার্মানি ম্যাচটির কথা। সে ম্যাচে বেশ কিছুবার নেদারল্যান্ডসের ফ্র্যাঙ্ক রাইকার্ডের সঙ্গে তর্কে জড়ান জার্মান ফরোয়ার্ড রুডি ভলার। একপর্যায়ে খেলা চলাকালীন সময়েই একে অপরকে থুতু ছোড়াছুড়ি শুরু করেন। পরে অবশ্য দুজনই লাল কার্ড পেয়ে মাঠের বাইরে চলে যান।
রজার মিলার সেই নৃত্য
১৯৯০ এর বিশ্বকাপে রজার মিলা ছিলেন সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড়। তবে বয়সের ভাঁড়ে নুয়ে যাওয়ার মতো খেলোয়াড় নন তিনি। পুরো বিশ্বকাপ জুড়ে চারটি গোল করেছিলেন সেবার। আর প্রত্যেকটি গোল করার পর এমনই নাচের দৃশ্যে তাঁকে দেখেছিলেন সবাই।
১৯৯৪ বিশ্বকাপের ব্রাজিলের জয়
১৯৯৪ বিশ্বকাপটি ব্রাজিলিয়ানদের জন্য ছিল চতুর্থ বিশ্বকাপ জয়। ম্যাচের পুরো সময় ইতালির সঙ্গে গোল শূন্য থাকায় শেষ পর্যন্ত ম্যাচ গড়ায় টাই ব্রেকারে। পরে ব্রাজিল ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতে নেয়।
জিদানের ঢুস
বোন নিয়ে গালি দেওয়ায় রেগে গিয়ে মার্কো মাতেরাজ্জিকে ঢুস মেরেছেন ফ্রেঞ্চ কিংবদন্তি জিনেদিন জিদান। ২০০৬ বিশ্বকাপের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত হয়ে আছে এটি।