দেশের মতো প্রবাসীদের বার্ষিক আয়ও আড়াই লাখ টাকার বেশি হলে তাকে আয়করের আওতায় আনা হয়েছে বলে ফেসবুকে ছড়ানো বক্তব্যে কান না দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। তিনি নিশ্চিত করেই জানিয়েছেন, এই ধরনের কোনো কিছুই বাজেটে হয়নি।
নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডিতে এই গুজবে কান না দিতে প্রবাসীদের পরামর্শ দিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী।
গত ৭ জুন আগামী ২০১৮-১৯ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। এতে ব্যক্তিগত করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানো-কমানোর বিষয়ে কোনো ঘোষণা আসেনি। অর্থাৎ আগের মতোই আয় আড়াই লাখ টাকার বেশি হলেই তাকে আয়কর রিটার্ন দাখিল করতে হবে।
অবশ্য চাকরিজীবীদের জন্য আরও কিছু ছাড় আছে। যেমন, বেতনে পাওয়া বাড়িভাড়া এক লাখ ৮০ হাজার টাকা বা মূল বেতনের ৫০ শতাংশের মধ্যে যেটি কম, সেটি করের আওতামুক্ত। এ ছাড়া চিকিৎসা ভাতা ৬০ হাজার এবং পরিবহন ভাতা ৩৬ হাজারেরও কোনো আয়কর দিতে হয় না। এর বাইরেও আয়ের একটি অংশ বিনিয়োগ করলে করে ছাড়া পাওয়া যায়।
তবে বাংলাদেশ প্রবাসী আয়কে উৎসাহ দিতে বরাবর একে করমুক্ত রাখে। এই ধারাবাহিকতা আগামী অর্থবছরেও চালু থাকবে।
তবে ফেসবুকে গুজব রটেছে যে, দেশের মতো প্রবাসেও আড়াই লাখ টাকার বেশি আয় করলে এবং তা দেশে পাঠালে সেটি করের আওতায় আসবে।
এই গুজবটি ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ায় প্রবাসীদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। আর এটি বৈধ পথে প্রবাসী আয় দেশে পাঠানোতে প্রতিবন্ধক হতে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এই পরিস্থিতিতে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ফেসবুকে লেখেন, ‘প্রবাসী ভাইয়েরা, গুজবে কান দেবেন না। এই বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের উপর কোন ভ্যাট বা ট্যাক্স আরোপ করা হয়নি। এ রকম কোন আলোচনাও কোথাও হয়নি।’
এই গুজবকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আখ্যা দিয়ে প্রতিমন্ত্রী লেখেন, ‘পরিকল্পিতভাবে বিভ্রান্ত ছড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। এটা অবৈধ পথে যারা প্রবাসীদের আয় পাঠানোর ব্যবসা করেন তাদের কাজ হতে পারে, আর সেই সাথে সরকারবিরোধীরা তো রয়েছেই।’
বার্তাটি প্রবাসীদের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ারও অনুরোধ করেন শাহরিয়ার আলম।
প্রতিমন্ত্রীর বুধবার সকাল ১০টার দিকে এই স্ট্যাটাস দেয়ার পাঁচ ঘণ্টায় দেড় হাজারের মতো শেয়ার হয়েছে এবং দুইশরও বেশি মানুষ এতে কমেন্ট করেছেন। বিষয়টি পরিষ্কার করার জন্য সবাই ধন্যবাদ জানিয়ে এ বিষয়ে একটি সংবাদ সম্মেলন করারও দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ।