নেইমার দ্য সান্তোস জুনিয়র (ব্রাজিল, ফরোয়ার্ড)
জন্ম: ৫ ফেব্রুয়ারি ১৯৯২ (২৬ বছর)
উচ্চতা: ৫ ফুট ৯ ইঞ্চি
ক্লাব: প্যারিস সেন্ট জার্মেই
জার্সি নাম্বার: ১০
ক্লাব ক্যারিয়ার: ১৯৯৯-২০০৩ পর্যন্ত পুর্তগিজ সান্তিস্তার যুব দলে ফুটবলে খেলেছেন নেইমার। ২০০৩ থেকে ২০০৯ সান্তোসের জুনিয়র দলে কাটিয়েছেন তিনি ব্রাজিলের সবচেয়ে দামী তারকা ফুটবলারের সিনিয়র ফুটবল ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৯ সালে সান্তোসের হয়েই।২০০৯ থেকে ২০১৩ এই ক্লাবে কাটিয়েছেন তিনি৷ এই সময় ১০২টি ম্যাচে ৫৪ টি গোল করেন ব্রাজিলের ব্ল্যাক হর্স৷ ২০১৩-১৭ বার্সেলোনাতে কাটান নেইমার। স্প্যানিশ ফুটবল জায়েন্টদের হয়ে ১২৩ ম্যাচে ৬৮ গোল রয়েছে ব্রাজিলের বর্তমান দলের সবচেয়ে প্রতিভাবান এই ফুটবলারের। ২০১৭ সালে ২২২ মিলিয়ন ডলারের মত বড় মূল্যে প্যারিস সেন্ট-জার্মেইতে নাম লেখান। ক্লাবটির হয়ে এখনো অবধি ২০ ম্যাচে ১৯টি গোল রয়েছে নেইমারের দখলে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার: ২০০৯-২০১৬ ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক জাতীয় দলের হয়ে ফুটবল খেলেছেন নেইমার। অনূর্ধ্ব-১৭ দলের হয়ে ৩ ম্যাচে ১টি, অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ৭ ম্যাচে ৯টি, অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে ১৪ ম্যাচে ৮টি, গোল করছেন নেইমার জুনিয়র।
ব্রাজিল জাতীয় দল (সিনিয়র): ২০১০ থেকে এ ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের আগে পর্যন্ত ব্রাজিলের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৮৫ ম্যাচে ৫৫টি গোল করেছেন এন টেন। ১০ আগাস্ট ২০১০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্রাজিলের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচে অভিষেক হয় নেইমারের।
২০১৩ কনফেডারেশন কাপ: জাপানের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম গোল। ৩-০ ম্যাচটি জিতে ব্রাজিল। পরের মেক্সিকো এবং ইতালির বিরুদ্ধের ম্যাচেও ধারাবাহিকভাবে গোল করেন এই ব্রাজিলীয় তারকা ফরোয়ার্ড এবং ফাইনালে স্পেনের বিরুদ্ধেও একটি গোল করেন নেইমার। ২০১৩ কনফেডারেশন কাপ জেতে ব্রাজিল। অনবদ্য পারফর্ম করার জন্য টুর্নামেন্টটিতে গোল্ডেন বল জেতেন নেইমার।
ফিফা ওয়ার্ল্ড কাপ (২০১৪): ৫ ম্যাচে ৪ গোল। জয়-৪, ড্র-১, হার-০
অলিম্পিক (২০১২, ২০১৬): লন্ডন মিশরের বিরুদ্ধে ম্যাচে প্রথম অলিম্পিক গোল করেন নেইমার। এই ২০১২ অলিম্পিকেই চিনের বিরুদ্ধে প্রথম আন্তর্জাতিক হ্যাটট্রিক করেন এন টেন।
পুরস্কার: ২০১১ সালে ফিফার ক্লাব বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ বল জেতেন নেইমার৷ ব্রাজিলের এই তারকা ফরোয়ার্ড ২০১১ সালে ফিফার পুসকাস পুরস্কার জেতেন। ফিফা কনফেডারেশন কাপ ২০১৩ সালে গোল্ডেন বল এবং ব্রোঞ্জ বুট জেতেন এন টেন। ২০১৪ সালের ফুটবল বিশ্বকাপে ব্রোঞ্জ বুটের দখল নেন তিনি৷