আমেরিকার একরোখা নীতি বিশ্ব শান্তির প্রতি ‘মারাত্মক হুমকি’: ইরান

ইরান বলেছে, আমেরিকার একরোখা নীতি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি মারাত্মক হুমকি সৃষ্টি করছে। তেহরান আরো বলেছে, আন্তর্জাতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে পদে পদে একরোখা ও স্বেচ্ছাচারী আচরণ করে যাচ্ছে মার্কিন প্রশাসন।

ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সোমবার তেহরানে এক সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি কানাডায় অনুষ্ঠিত জি-সেভেন শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী নেতারা আমেরিকার একরোখা নীতির জ্বলন্ত উদাহরণ প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, আমেরিকার এই একগুঁয়ে নীতি ‘অযৌক্তিক, অগঠনমুলক এবং বাস্তবতার পরিপন্থি।’ খবর পার্সটুডে’র।

গত ৮ ও ৯ জুন কানাডার কুইবেকে অনুষ্ঠিত শীর্ষ সম্মেলন থেকে জি-সেভেন নেতারা বিভিন্ন বিষয়ে একটি ইশতেহার প্রকাশ করেন। এতে তারা দাবি করেন, ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি এবং তা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের ২২৩১ নম্বর প্রস্তাবের লঙ্ঘন। ইশতেহারে আরো দাবি করা হয়, ইরান মধ্যপ্রাচ্যে ‘অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী তৎপরতা চালাচ্ছে এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন দিচ্ছে।’

এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করে বাহরাম কাসেমি বলেন, ‘ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান এ পর্যন্ত প্রমাণ করেছে যে, দেশটি আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার গুরুত্ব অন্য দেশগুলোর চেয়ে বিশেষ করে জি-জেভেনভুক্ত দেশগুলোর চেয়ে ভালো বোঝে।’

তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক দেশের বৈধ সরকারের অনুরোধে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সাহায্য করে ইরান আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় সহযোগিতা করেছে। ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেন, আমেরিকার পক্ষপাতদুষ্ট ও বিদ্বেষপ্রসূত অভিযোগ এক্ষেত্রে কোনো প্রভাব ফেলবে না।

ক্ষেপণাস্ত্র সংক্রান্ত অভিযোগের জবাবে কাসেমি বলেন, আত্মরক্ষার স্বার্থে ক্ষেপণাস্ত্রের মতো প্রচলিত সমরাস্ত্র তৈরি করার অধিকার ইরানের রয়েছে এবং এর মাধ্যমে জাতিসংঘের কোনো প্রস্তাব লঙ্ঘিত হয়নি।