বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমেদের পরিবারকে ‘রাজনীতি থেকে সরিয়ে দিতে চায়’ বলে অভিযোগ করেছেন তানজিম আহমেদ সোহেল তাজ। একইসঙ্গে গাজীপুরের কাপাসিয়ায় ‘নোংরা টাকার অপরাজনীতি হচ্ছে‘ উল্লেখ করে তিনি সতর্কবার্তা দিয়ে বলেন, ‘একে একে মুখোশ উন্মোচিত হবে’। নিজের অফিসিয়াল ফেসবুক পাতায় রোববার এক পোস্টে তিনি এসব কথা লেখেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পরিবারের সঙ্গে তাদের পরিবারের বিভেদ সৃষ্টির চেষ্টা চলছে উল্লেখ করে সোহেল তাজের ভাষ্য, ওই ‘কুচক্রী মহলের ‘প্রভাব দলের ভেতরে’ এমনকি ‘প্রশাসনের সর্বস্তরে’ রয়েছে।
একইসঙ্গে, নিজ এলাকা গাজীপুরের কাপাসিয়াতে কোন অপরাজনীতি না হতে দেয়ার জন্য এলাকাবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানিয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাড়ে ১১ হাজার মানুষ পোস্টটিতে রিঅ্যাক্ট করেছেন। কমেন্ট এসেছে ৮৮৮টি। আর শেয়ার হয়েছে ১২৪৯বার। দীর্ঘদিন রাজনীতির বাইরে থাকা তাজ দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। রাজনীতি-বিমুখ এই মানুষটিকে রাজনীতিতে ফিরে আসারই অনুরোধ করে আসছেন তার ভক্তরা।
২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি শেখ হাসিনার মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নিলেও ওই বছরের ৩১ মে তিনি মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেন। পদত্যাগপত্রে সোহেল তাজ বলেছিলেন, ‘মন্ত্রীর দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করতে না পারায় আমি স্বজ্ঞানে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি।’
সেই পদত্যাগপত্র গৃহীত না হওয়ায় ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে একটি চিঠি দেন সোহেল তাজ। পাশাপাশি তিনি পদত্যাগ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারিরও আবেদন জানান। সেই সময় থেকে তার ব্যক্তিগত হিসাবে পাঠানো বেতন-ভাতার যাবতীয় অর্থ ফেরত নেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয় ওই চিঠিতে। এরপর ২০১২ সালের ২৩ এপ্রিলে সংসদ থেকে পদত্যাগ করেন সোহেল তাজ।
মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের পর সোহেল তাজের আবারও মন্ত্রিসভা এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফিরে আসা নিয়ে বিভিন্ন সময়ে নানা ধরণের গুঞ্জন শোনা গেছে। তবে সেগুলো শেষ পর্যন্ত আর বাস্তব হয়নি। ২০০৮ সালে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন সোহেল তাজ।