পকেটে মার্বেল নিয়ে ঘুরে বেড়াত ছেলেটা
শৈশবে ব্যাগভর্তি গুলি নিয়ে সারা দিন টইটই করে ঘুরে বেড়াতেন মেসি। বন্দুকের গুলি নয়, মার্বেল। মার্বেল খেলায় পাড়ায় তার সঙ্গে টক্কর দেয় এমন কেউ ছিল না। মার্বেল খেলায় পাড়ায় সেরা তিন বছরের সেই ছেলেটি এখন ফুটবল বিশ্বের জাদুকর বলেই চেনে অনেকে। মেসির পরিবার ছিল খুবই দরিদ্র। তার বাবা শখের ফুটবল কোচ হলেও এই কোচিং থেকে খুব একটা রোজগার হতো না তার। তাই তিনি কাজ করতেন ইস্পাতের কারখানায়। তার মা পরিবারের অভাব মেটানোর জন্য খণ্ডকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী হিসেবে কাজ করতেন। তারপরও পরিবারের সবাই মিলে সচ্ছল জীবন-যাপন সম্ভব ছিল না মেসিদের জন্য।
১১ বছর বয়সী মেসির চিকিৎসার টাকাও ছিল না
ফুটবলের সঙ্গে তার প্রেম অল্প বয়সেই শুরু। বাবা যেহেতু ফুটবল কোচ, ফুটবল খেলায় তার হাতেখড়িও বাবার হাতেই। পাঁচ বছর বয়স থেকেই বাবার ক্লাব ‘গ্র্যান্ডোলি’তে খেলেছেন মেসি। পরের বছর ১৯৯২ সাল। ৬ বছরের বাচ্চাদের নিয়ে রোজারিও ক্যাম্পে ফুটবল ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছিল। ৬ বছর বয়সী মেসি মাঠে নেমেই তার জাদু দেখিয়েছিলেন। রোজারিও ফুটবল দলে পাকা হয়ে গেলেন মেসি। এদিকে মাত্র ১১ বছর বয়সেই ধরা পড়ল জটিল রোগ। গ্রোথ হরমোনের সমস্যা দেখা দিয়েছে মেসির। অত্যন্ত ব্যয়বহুল চিকিৎসা হওয়ায় মেসির পরিবারের পক্ষে এ ব্যয় বহন করা প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াল। বছরে প্রায় ১২ হাজার ইউরো লাগবে তার চিকিৎসায়। পরিবারে এমনিতেই আর্থিক টানাপড়েন, তার ওপর মেসির এই রোগ দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াল। কিন্তু তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করবে এই শর্তে মেসিকে ডেকে নেয় বার্সা একাডেমি।
টিস্যু কাগজে চুক্তি হলো বার্সায়
২০০০ সাল। স্থানীয় পত্রিকায় বিস্ময়বালক শিরোনামে তখন খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে তার। ১৩ বছর বয়সেই বার্সার বিখ্যাত একাডেমি লা মাসিয়ায় ট্রায়ালের ব্যবস্থা হলো তার। ২০০০ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর বার্সেলোনার এক ফ্লাইটে উড়াল দেন লিওনেল মেসি। আটলান্টিক পেরিয়ে মেসির বাবা-মা তাকে নিয়ে তখন হাজির হন বার্সেলোনায়। ট্রায়ালে মেসি যে কয়েক মিনিট বল নিয়ে নিজের প্রতিভার ঝলক দেখান, তাতেই রেক্সাস একেবারে মুগ্ধ হয়ে যান। তিনি হাতের কাছে কোনো কাগজ না পেয়ে একটি ন্যাপকিন পেপারে মেসির বাবার সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। চুক্তি হওয়ার পর মেসির পুরো পরিবার চলে যায় স্পেনে। চিকিৎসা শেষে মেসিও ভর্তি হয়ে যান বার্সেলোনার তরুণ দলে। বার্সেলোনার যুবদলের সেই মেসি মাত্র ১৬ বছর বয়সে সুযোগ পেয়ে যান বার্সেলোনার মূল দলে। এরপর আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে খেলেও তাক লাগিয়েছেন বিশ্বকে। পেলে, ম্যারাডোনার মতো সব ফুটবল কিংবদন্তির সঙ্গেই এখন উচ্চারিত হয় মেসির নাম। পাঁচবার ফিফা বর্ষসেরা খেলোয়াড় মেসি নিজেকে নিয়ে গেছেন অন্য উচ্চতায়।
রাজপুত্রের দুঃখের নাম বিশ্বকাপ
২০১৪ সাল। বিশ্বকাপ ফুটবল। সেবার দীর্ঘ ২৪ বছর পর বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল আর্জেন্টিনা। কিন্তু ব্যর্থ হন মেসি-হিগুয়েনরা। তবে আর্জেন্টিনাকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার কৃতিত্বস্বরূপ টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার গোল্ডেন বল অ্যাওয়ার্ড পান লিওনেল মেসি। কিন্তু তার মুখে হাসির বদলে ছিল বিষণ্নতা। সে দৃশ্য মেসিপ্রেমীরা কোনো দিন কি ভুলবে? জীবনে যার এত সাফল্যের গল্প লেখা হয়ে গেছে তার অপূর্ণতার নাম হয়ে রইল বিশ্বকাপ। রেকর্ডের বরপুত্রের কপালে সবই জুটেছে, তবুও সোনার বিশ্বকাপ অধরাই থেকে গেল মেসির। মেসির ভাষ্য, ফাইনালে গোল না করার হতাশাটা আমি আজীবন বয়ে বেড়াব। আর্জেন্টিনার জার্সি গায়ে নিষ্প্রভ মেসিকে নিয়ে সমালোচনাও কম হয়নি। এবারই প্রথম সেই সমালোচনা ঘোচানোর সবচেয়ে কাছে পৌঁছে ছিলেন তিনি। সেই অভাবের কথা মনে করিয়ে দিয়ে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, ফিফা বর্ষসেরার পাঁচটি পুরস্কার, নাকি একটি বিশ্বকাপ শিরোপা— কোনটি চাইবেন? মেসি বললেন, ‘নিশ্চিতভাবে একজন খেলোয়াড় হিসেবে আপনার সর্বোচ্চ লক্ষ্য বিশ্বকাপের শিরোপা। অবশ্যই আমি এটাই বেছে নেব।’ এখন দেখার পালা, রাশিয়া বিশ্বকাপে ফুটবল রাজপুত্রের দুঃখ ঘোচে কি-না।
বিশ্বজয়ের শেষ সুযোগ
লিওনেল মেসির শেষ বিশ্বকাপ হতে যাচ্ছে রাশিয়া বিশ্বকাপ। আর্জেন্টাইন এই ফরোয়ার্ডের হাত ধরেই গেল বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল দল। বিশ্বকাপের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারও ছিল তার হাতে। কিন্তু ছোঁয়া হয়নি বিশ্বকাপ। রাজপুত্রের সোনালি দুঃখ হয়ে থাকা বিশ্বকাপ জয় করতে পারলেই বিশ্বজয়ের স্বাদ পাবেন মেসি। ম্যারাডোনার হাতে ওঠা বিশ্বকাপের সোনালি ঝলক আর দেখেনি আর্জেন্টিনা। তাই বিশ্বের কোটি কোটি আর্জেন্টিনা সমর্থকের চোখ রয়েছে মেসির ওপর। মেসি কি পারবেন, কোটি সমর্থকের স্বপ্ন পূরণ করতে? সেই প্রত্যাশার কথা অজানা নয় মেসিরও। তিনি নিজেও বলছেন, এটাই আমার শেষ বিশ্বকাপ। বিশ্বকাপ হাতে তুলেই পূর্ণতা পাবে তার হৃদয়।’ মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নেওয়া মেসির মন ভরবে বিশ্বকাপটা হাতে উঠলেই। ৩২ বছর ধরে বিশ্বকাপের ক্ষুধায় কাতর কোটি কোটি আর্জেন্টিনা সমর্থকদের বাজি তাই লিওনেল মেসির ওপর। আর ফুটবল বিশ্বের কে না জানে, মেসি যেদিন জ্বলে ওঠেন সেদিন সব তারকাই নিভে যান!
বাঁ পায়ের খেল!
ফুটবল বিশ্ব দেখেছে পেলে ম্যাজিক, মারাডোনার ‘হ্যান্ড অফ গড’, রবার্তো কার্লোসের ‘ব্যানানা কিক’, ৩০ গজ দূর থেকে ইব্রার ব্যাক ভলি, মাঝমাঠ থেকে রোনালদিনহোর ফ্রি-কিক। কিন্তু সবকিছুকে ছাপিয়ে গেছে মেসির বাঁ পা। মেসি যে বাঁ পা নির্ভর খেলোয়াড় সেটা অনেকেই জানেন। ডান পায়ের ছোঁয়া ছাড়াই ডিফেন্সের খেলোয়াড়কে কাটিয়ে পরাস্ত করাটা তাই সত্যিকার অর্থেই তার কাছে বাঁ পায়ের খেল! মেসির গোল পোস্টে শট নেওয়া নব্বই শতাংশই বাঁ পায়ের। তার জীবনে করা গোলগুলোর ৮০ শতাংশই বাঁ পায়ের শটে হয়েছে। বার্সেলোনায় প্রথম ৪০০ গোলের মধ্যে ৩৪০টা গোলই করেছেন বাঁ পায়ে। পর্তুগাল তারকা রোনালদো এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মেসির বাঁ পা আমার থেকে অনেক ভালো।
সবচেয়ে দামি ফুটবলার
ফোর্বস ম্যাগাজিনের সর্বশেষ তালিকায় ধনী খেলোয়াড়ের মধ্যে মেসি রয়েছেন দুই নম্বরে। অবশ্য ফুটবলার হিসেবে তিনি শীর্ষ ধনী। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১১১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার।
পুরো নাম : লিওনেল আন্দ্রেস মেসি
প্রখ্যাত : পাঁচবার ফিফা ব্যালন ডি অর বিজয়ী ফুটবলার। আর্জেন্টিনা জাতীয় ফুটবল দলের ফরোয়ার্ড। ক্লাব ফুটবলে খেলছেন স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনার হয়ে।
জন্ম : রোজারিও, আর্জেন্টিনা।
জন্মতারিখ : ২৪ জুন, ১৯৮৭
বর্তমান বয়স : ৩০ বছর
উচ্চতা : ৫ ফুট ৭ ইঞ্চি
ওজন : ৭২ কেজি
স্ত্রী : অ্যান্তোনেল্লা রোকুজ্জোর সঙ্গেই রাজকীয় বিয়ে সারেন মেসি।
সন্তান : থিয়াগো মেসি ও মাতেও মেসি
বেতন (প্রতি সপ্তাহে) : ২ কোটি ১৭ লাখ টাকা
আয় (প্রতি সপ্তাহে) : ৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা
মোট আয় (প্রতি বছরে): ৫১০ কোটি টাকা
খেলোয়াড় মূল্য : ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা
পাড়ার ছেলেরা আমাকে খেলায় নিত না
—লিওনেল মেসি
আমি খুব সাধারণ। কিন্তু সুন্দর একটি বাড়িতে থাকতাম। আমার বাবা সারা দিন পরিশ্রম করে আমাদের জন্য সবকিছু নিয়ে আসতেন। আমি কখনই কোনো কিছুর অভাব বোধ করিনি। আমি অনেক ছোটবেলায় প্রথম ফুটবল উপহার পেয়েছিলাম। তখন আমার বয়স মনে হয় তিন কিংবা চার হবে। কিন্তু ফুটবল নিয়ে রাস্তায় খেলতে যেতাম না। যদি ফুটবল ফেটে যায় বা ফুটবলের গায়ে ময়লা পড়ে; এই ভয় ছিল। আমাদের বাড়ি থেকে খুব কাছেই একটি পরিত্যক্ত সামরিক ক্যাম্প ছিল। আমরা তারের বেড়া ডিঙিয়ে চুপি চুপি চোরের মতো সেই ক্যাম্পে খেলতে যেতাম। তারপর সারা দিন ফুটবল নিয়েই পড়ে থাকতাম। প্রথম দিকে পাড়ার বড় ভাইয়েরা আমাকে রাস্তার সেই ফুটবল ম্যাচে নিতে চাইত না। আমার কাছ থেকে অন্য ছেলেরা যখন বল নিতে পারত না, তখন যদি সেই ছেলেরা রেগে গিয়ে আমাকে মারধর করে। এ নিয়েই ছিল তাদের যত দুশ্চিন্তা। পরে আমি আমাদের এলাকার ছোট ফুটবল ক্লাব গ্র্যান্ডোলিতে যোগ দিই। এক দিন আমার থেকে একটু বয়সে বড় দলের এক খেলোয়াড় খেলার জন্য প্রস্তুত ছিল না। আমার দাদিমা আমাকে জোর করে সেই ম্যাচে খেলতে নামিয়ে দেন। আমাদের কোচ আমাকে মাঠে নামাতে চাচ্ছিলেন না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি আমাকে পুরো খেলা খেলতে দিয়েছিলেন। আমি প্রতিদিন ঘণ্টা ধরে মাঠে ফুটবল প্র্যাকটিস করতাম। আমি প্রতিদিন স্কুলে যেতাম। কিন্তু স্কুল থেকে বাড়ি ফিরেই সোজা ফুটবল নিয়ে দৌড় দিতাম। কিছু একটা মুখে পুরেই আমি রাস্তায় দৌড় দিতাম। সব সময় আমার সঙ্গে একটি বল রাখতাম। বয়স্ক দলের সঙ্গে যখন প্রথম প্র্যাকটিস করি তখন আমার কোচ বার্সেলোনা যাওয়ার জন্য সব ব্যবস্থা করেন। তিনি তখন তার মনের প্রশান্তির জন্য আমার জন্য একটি চুক্তিপত্র রেডি করেন। ন্যাপকিনের ওপর লেখা সেই চুক্তিপত্রে আমি স্বাক্ষর করি। প্রথম বার্সেলোনায় এসে আমার একা একা লাগত। কান্নাকাটি করতাম। আমার স্বপ্ন ছিল বার্সেলোনার প্রধান দলের হয়ে ফুটবল খেলা।
তারকাদের চোখে মেসি বিশ্বসেরা
দিয়াগো ম্যারাডোনা (আর্জেন্টিনা) : মেসি প্রতিভাবান এবং সে দিন দিন উন্নতি করছে। আমার জায়গা যদি কেউ দখল করে তার নাম মেসি।
পেলে (ব্রাজিল) : এই মুহূর্তে মেসিই বিশ্বসেরা। টেকনিক্যালি মেসি আমার সমকক্ষ।
পেপ গার্ডিওলা (সাবেক কোচ, বার্সেলোনা) : মেসির কোচ হতে পারাটা সম্মানের। আমার দেখা সেরা খেলোয়াড় সে।
অ্যালেক্স ফার্গুসন (সাবেক কোচ, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড) : বোদ্ধারা জিজ্ঞেস করে পেলের পর গত ৫০ বছরে এমনকি আজ পর্যন্ত কে সেরা। মেসি ১৯৫০ সালে অথবা আজকে খেলতে পারত। কারণ সে সেরা।
মার্সেলো লিপ্পি (সাবেক কোচ, ইতালি) : কে সেরা? মেসি।
জন টেরি (ইংল্যান্ড) : মেসির বিপক্ষে খেলতে পারাটাও আনন্দের। যখন আমার ক্যারিয়ার শেষ হবে তখন পেছনে ফিরে দেখব আমি মেসির বিপক্ষে খেলতাম।
জিনেদিন জিদান (ফ্রান্স) : এ সময়ের সবচেয়ে ব্যতিক্রম মেসি। একজন ফুটবলপ্রেমী হিসেবে তার খেলা দেখাও উপভোগ্য।
ফিলিপ স্কোলারিও (সাবেক কোচ, পর্তুগাল) : ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর ক্যারিয়ারে মেসি না থাকলে সেই হতো বিশ্বসেরা।
রাদামেল ফ্যালকাও (কলম্বিয়া) : মেসি খেলোয়াড় নাকি গোটা প্লে স্টেশন?
নেইমার (ব্রাজিল) : মেসি বিশ্বসেরা। মাঠে আপনি তাকে সামান্য সুযোগ দিন। সে যা চায় তাই করবে।
মাইকেল ওয়েন (ইংল্যান্ড) : মেসির মতো কেউ খেলতে পারে এটা বিশ্বাস হয় না।
রোনাল্ডো (ব্রাজিল) : নিঃসন্দেহে মেসি বিশ্বের সেরা খেলোয়াড়।
অলিভার কান (জার্মানি) : ম্যারাডোনা, পেলের মতো মেসি এক বিস্ময়।
ম্যাক্সি রুদ্রিগেজ (আর্জেন্টিনা) : কোনো সন্দেহ নেই তুমি (মেসি) অন্য গ্রহের ফুটবলার।
রাফায়েল ভ্যান ডার (নেদারল্যান্ডস) : আমি সেরা কোন ফুটবলারের বিপক্ষে খেলেছি? সে মেসি। সে মাঠে হারিয়েছে আমাদের।
সার্জিও আগুয়েরো (আর্জেন্টিনা) : মেসি অবসরে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিশ্বসেরাই থাকবে।
জেরার্ড পিকে (স্পেন) : মেসি সব সময় প্রমাণ করেছে সে বিশ্বসেরা।
ফার্নান্দো গ্যাগো (আর্জেন্টিনা) : আমার জন্য মেসিই বিশ্বসেরা। তার খেলা দেখতেও ভালোবাসি।
আরিয়েন রোবেন (নেদারল্যান্ডস) : মেসি ভিনগ্রহ থেকে এসেছে।
পাওলো মালদিনি (ইতালি) : আমার কোনো সন্দেহ নেই সে এক বিস্ময়কর ফুটবলার। যখন মেসিকে খেলতে দেখি আমি ভাবি সেই জিতবে।
ডেভিড বেকহ্যাম (ইংল্যান্ড ) : আমি যাদের বিপক্ষে খেলেছি তাদের মধ্যে মেসিই সেরা।
বুফন (ইতালি) : মেসি এই যুগের সেরা খেলোয়াড়। তার মতো খেলোয়াড় বার বার আসে না।
- ব্রেকিংবিডিনিউজ২৪ / ০৯ জুন ২০১৮ / তানজিল আহমেদ