যেসকল ক্ষেত্রে বাড়ছে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ

সৌদির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান দেশটিতে নানা ধরণের সংস্কার ও অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা ঘোষণা করেন গত বছর। ইতোমধ্যে সৌদির নারীদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। দেশটির নারীরা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখছেন, সিনেমা হলগুলোতেও এখন তাদের ভিড় চোখে পড়ার মতো। শুধু তাই নয়, কর্মক্ষেত্রেও বাড়ছে সৌদি নারীদের অংশগ্রহণ।

বুধবার সৌদি গ্যাজেটের এক প্রতিবেদন বলা হয়েছে, সৌদি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রকাশিত সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী দেশটির বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় সাড়ে সাত হাজার নারী কাজ করছেন।

জরিপে বলা হচ্ছে, সৌদির ১৫৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে এসব নারীরা কাজ করছেন। তারমধ্যে সৌদির মধ্যাঞ্চল রিয়াদ, কাসিম এবং হেইল শহরের ৫৩টি শিল্প-কারখানায় তিন হাজার ২২ জন নারী কাজ করছেন। দেশটির পূর্বাঞ্চলের প্রদেশগুলোতে ৪৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানে এক হাজার ১২১ জন এবং পশ্চিমাঞ্চলে তিন হাজার ৩৫৮ জন কাজ করছেন।

খাদ্য শিল্পে সবচেয়ে বেশি সৌদির নারীরা (চার হাজার ১২৬ জন) কাজ করছেন। যা মোট কর্মীদের ৫৫ শতাংশ। ওষুধ শিল্পে ৬৯২ জন এবং রাসায়নিক শিল্পে ৫৩১ জন নারী কাজ করেন। বিদ্যুৎ শিল্পে ৪৭১ জন, খনিজ শিল্পে ৪৫৩, টেক্সটাইল ৪৬৩, প্লাস্টিক শিল্পে ৩৬২, গ্লাস শিল্পে ২৩৩ এবং কাগজ শিল্পে ১৭০ জন সৌদি নারী চাকরি করছেন।

সৌদি সরকার শুধু নারীদের জন্য পৃথক শিল্প-কারখানা স্থাপনের ওপর জোর দিচ্ছেন। যাতে করে নারীরা আরো বেশি কাজের সুযোগ পায়। কর্মজীবী নারীর বাচ্চাদের দেখভালের জন্য ডে কেয়ার চালুর কথাও ভাবছেন তারা। ভিশন ২০৩০ বাস্তবায়নে এসব পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে বলে সৌদি গ্যাজেটের এই প্রতিবেদনে বলা হয়।

আন্তর্জাতিক মান অনুযায়ী নারীদের জন্য বিশেষ কর্ম অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করেছে সৌদি সরকার। এসব এলাকায় নারীদের থাকা-খাওয়াসহ নানাবিধ সুবিধা রয়েছে।

২০১৪ সালে সৌদির শিল্প-কারখানায় নারী কর্মীদের উপস্থিতি ছিল পাঁচ হাজার ৪৮০ জন এবং ২০১৭ সালের শেষে এসে তা দাঁড়ায় সাড়ে সাত হাজারে। শিল্প খাতে সৌদির উল্লেখযোগ্য নারীরা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ করছেন।