জোর করে খেলানো হচ্ছে সাকিবকে ফাঁস হলো সে আসল কারণ

উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন অলিম্পিক কিংবা ফুটবলে উত্তর কোরিয়ার খেলোয়াড়েরা হেরে গেলে বাঁ বাজে পারফর্ম করলে তাদের জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করেন! এজন্যই উত্তর কোরিয়া ব্রাজিলের মত দলের সঙ্গেও জানপ্রাণ দিয়ে লড়াইও করে।

হয়তো আমাদের ক্রিকেটেও সেই ব্যবস্থা করার সময় এসে গেছে। না হলে আফগানদের বিপক্ষে নূন্যতম লড়াইটাও করতে পারলো না বাংলাদেশ। তাহলে কাদের পেছনে এত কাড়ি কাড়ি অর্থ ব্যয় করছি আমরা।

দুই ম্যাচের এক ম্যাচেও মনে হয়নি দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে জয়ের ইচ্ছা আছে। বিশেষ করে অধিনায়ক সাকিবের খেলায় যেন কোনো মনোযোগ নেই। সাকিবকে দেখে মনে হচ্ছে খুবই বিরক্ত। তাঁকে জোর করে খেলানো হচ্ছে। আইপিএল খেলার সময় তো ঠিকই মনোযোগ থাকে, শরীরের ভিতর উত্তেজনাও কাজ করে। তাহলে এখানে সেই উত্তেজনা গেল কই।

তামিম ইকবাল সেরা স্কোরার। কিন্ত তাঁর ব্যাটিং দেখে বেশ বিরক্ত লেগেছে। একজন সেট ব্যাটসম্যান এতটা ল্যুজ ব্যাটিং করতে পারে তা আগে জানা ছিল না।

এবার আসা যাক রুবেলের কথায়। কিছুই বলার নাই। ডেথ ওভারে ইয়র্কার দিতে গিয়ে বারবার হাফভলি দিচ্ছেন। সেটা বোঝার ক্ষমতা তাঁর এখনও হয়নি। অথচ ১০ বছর ধরে ক্রিকেট খেলছেন। পরপর দুটো সিরিজে তার এই বোকামির জন্য ডুবতে হল। অথচ তিনি প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৮ দিয়েছেন সো এখন যেটা করতে হবে। হয় ডেথ ওভারে ইয়র্কারের চেয়ে গুড লেংথে বল ফেলার দিকে নজর দেয়ার অভ্যাস করতে হবে, না হয় শুরুতেই চার ওভার শেষ করে ফেলতে হবে।

সবচেয়ে বড় কথা, ২০১৮ তে ৮টি টি২০ খেলেছে টাইগাররা, দুইটি জয়ের বিপরীতে হেরেছে ছয়টিতে। হেরে যাওয়া সেই ছয় ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা প্রতিপক্ষের উইকেট নিতে পেরেছে মাত্র ৩০টি! গড়ে প্রতি ম্যাচে মাত্র ৫টি । নিদাহাস ট্রফির ফাইনাল যদি না বাদ দেওয়া হয়, তাহলে পরিসংখ্যানটা আরো ভয়াবহ দেখাবে, পাঁচ ম্যাচে মাত্র ২২টি উইকেট নিয়েছে টাইগার বোলাররা।