বিশ্বকাপে যে গোলকিপারদের হারানো মুশকিল নয় অসম্ভবও হতে পারে

বিশ্বকাপের এই এক মজা। শুধু গোল করা নয়, গোল বাঁচানো দেখেও দারুণ মজা হয়। রোনাদো-বালাকদের মাঝেও তাই উজ্জ্বল ছিলেন অলিভার কান। আবার মেসিদের মাঝে উজ্জ্বল ছিলেন ক্যাসিয়াস। আসলে গোল বাঁচানো হল এমন একটা শিল্প যা কখনো কখনো গোল করার শিল্পকে হার মানায়। আসলে গোল করলে মুখ বন্ধ করা উচ্ছাস হয়। আর গোল বাঁচানো দেখলে মুখ হা হয়ে যায়।

এবারের বিশ্বকাপে এমন কিছু বিশ্বসেরা গোলকিপার খেলবেন যাদের গোল বাঁচানো দেখলে বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, এরা এই গ্রহের মানুষ কি না। কখনো তারা স্পাইডারম্যান, কখনো সুপারম্যান। আসুন দেখে নিই কোন পাঁচজন গোলকিপার এবার বিশ্বকাপ মাতিয়ে দিতে পারেন-

এক. থিবো কুর্তোয়া (বেলজিয়াম): গত বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা গোলকিপার ছিলেন কুর্তোয়া। বেলজিয়ামের এই গোলকিপারকে হারিয়ে গোল করা অসাধ্য হয়ে যায়।

দুই. উইলিয়াম কাবায়েরো(আর্জেন্টিনা, ৩৬ বছর বয়স): সার্জিও রোমেরোও চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ায় আর্জেন্টিনার তিনকাঠির নিচে দাঁড়াবেন চেলসির হয়ে দুরন্ত খেলা কাবায়েরো। চেলসির হয়ে এফএ কাপও জিতেছেন ৩৬ বছর বয়সী এই গোলরক্ষক। বিশ্বকাপে দেশের গোলরক্ষার দায়িত্ব পালন করতে হবে বুঝতে পেরে কাবায়েরো বলেন, ‘আমি রাশিয়ায় নিজেকে উজাড় করে দিতে চাই এবং দেশকে কিছু দেয়ার জন্য এটা আমার জীবনের সেরা সুযোগ। আমার ভালো করার তাড়না একাদশে থাকতে চাওয়ার প্রতিজ্ঞাটাই দিয়েছে। বিশ্বকাপে আমি আমার সামর্থ্য দেখাতে চাই এবং হোর্হের আস্থা অর্জন করে দলে নিয়মিত হতে চাই।’

তিন. অ্যালিসন (ব্রাজিল): বুঁফোর দেশ ইতালির লিগে তিনি সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেয়েছেন। এএস রোমার হয়ে খেলা অ্যালিসন এবার নেইমারদের দলের বড় ভরসা। অবিশ্বাস্য সব গোল সেভ করেন অ্যালিসন। ইতালিয়ান লিগের সেরা গোলকিপার অ্যালিসন এমন সব সেভ করেন যা দেখে বিশ্বের বড় ক্লাবগুলো তাকে দলে পেতে ঝাঁপাচ্ছে। নেইমারের গোলের থেকেও অ্যালিসনের সেভ চিত্তাকর্ষক হয়ে উঠতে পারে।

চার.ম্যানুয়েল ন্যুয়ের (জার্মানি): তিনি শুধু গোল সেভ করেন না, গোল করার মত পাশ বাড়িয়ে নেন। তিনি হলেন সুইপার কিপার। চোট নিয়েই রাশিয়া যাচ্ছেন। ২০১৪ সালে ব্রাজিল বিশ্বকাপের সেরা গোলরক্ষকের সম্মান পেয়েছিলেন ম্যানুয়েল ন্যুয়ের। ‘সুইপার কিপার’ হিসেবে পরিচিত ছয় ফুট চার ইঞ্চি লম্বা এই গোলরক্ষক পেছনে থাকলে ডিফেন্ডাররা বাড়তি সুবিধা পান।

পাঁচ. দাভিদ দে খেয়া (স্পেন): ইংলিশ প্রিমিয়র লিগের সেরা গোলকিপার হয়েছেন তিনি। আসলে তিনিই এখন দুনিয়ার সেরা গোলকিপার। ইকার কাসিয়াসের দেশে আরও এক বিশ্বসেরা গোলকিপারের জন্ম হয়েছে তার মাধ্যমে।