গুয়েতেমালায় অগ্ন্যুৎপাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৫ জনে। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৯২ জন।
রোববার গুয়াতেমালার ফুয়েগো আগ্নেয়গিরিটি থেকে অগ্ন্যুৎপাত শুরু হয়। চার দশকের মধ্যে গুয়াতেমালায় এটি সবচেয়ে ভয়াবহ অগ্ন্যুৎপাত। ভয়াবহ সেই অগ্নুৎপাতের পর বিশেষজ্ঞরা ধারণা দিয়েছিলেন, নতুন আর কোনো আঘাতের সম্ভাবনা আপাতত নেই। তবে মঙ্গলবার নতুন করে অগ্নুৎপাতে লাভার উদগীরণ বেড়ে যায়।
রোববার অগ্ন্যুৎপাতের পর আকাশের ৩ হাজার ৭৬৩ মিটার উঁচুতে ছড়িয়ে পড়ে ছাইমেঘ, উত্তপ্ত কাদামাটি ও পাথরকণা। ক্ষতিগ্রস্থ ১৭ লাখের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৩২৭১ জনকে অন্যত্র চলে যাবার নির্দেশ দেয়া হয়েছে এবং ১৭৮৭ জন আশ্রয় শিবিরে অবস্থান নিয়েছে।
ভূমিকম্প, অগ্ন্যুৎপাত ও আবহাওয়াবিষয়ক প্রতিষ্ঠান ইনসিভুমেহ’র পরিচালক এডি স্যানশেজকে উদ্ধৃত করে সোমবার রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সন্ধ্যা থেকে অগ্ন্যুৎপাতের তীব্রতা কমতে শুরু করেছে। পরবর্তী কয়েকদিনে তা আরও কমে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। তবে অনুমানকে মিথ্যে প্রমাণ করে মঙ্গলবার আবারও বাড়তে থাকে লাভার উদগীরণ।
স্থানীয় বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ১৯৭৪ সালে এ আগ্নেয়গিরি থেকে সর্বশেষ লাভা নির্গত হয়েছিল। বাতাসে ছাই থেকে রক্ষা পেতে সরকারি কর্মকর্তারা স্থানীয় বাসিন্দাদের মাস্ক পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন।
গুয়েতেমালা মিলিটারি জানায়, পরিস্থিতি মোকাবেলা করার জন্য তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
উল্লেখ্য, ‘ফুয়েগো’ শব্দের অর্থ আগুন। এ আগ্নেয়গিরিটির অবস্থান রাজধানী গুয়াতেমালা সিটি থেকে ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে।