ইমরান এইচ সরকারকে- সারা দেশে চলছে র্যাব ও পুলিশের মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান। অভিযানের ধারাবাহিকতায় র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক।
গত শনিবার (২৬ মে) টেকনাফে র্যাবের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে পৌর কাউন্সিলর একরামুল হক নিহতের ঘটনায় তোলপাড় চলছে স্যোশাল মিডিয়ায়। এই বিষয়ে মন্তব্য করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।গত শুক্রবার ফেসবুকে নিজস্ব ভেরিফায়েড পেজে ইমরান সরকার।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গণজাগরণ মঞ্চের একাংশের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে ছেড়ে দিয়েছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এর আগে রাজধানীর শাহবাগ থেকে তাকে আটক করে র্যাব-৩। এ সময় ইমরান একটি কর্মসূচিতে ছিলেন।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল এমরানুল হাসান জানান, আটকের পর ইমরানকে র্যাব-৩ এর কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাত ১১টা নাগাদ তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বুধবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীরা। একই স্থানে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের মানববন্ধন থাকায় তা পিছিয়ে সাড়ে চারটায় নেয়া হয়। বিকাল চারটা ২৫ মিনিটেরে দিকে অনুষ্ঠানস্থলে আসেন ইমরান এইচ সরকার।
মাদকবিরোধী অভিযানে বন্দুকযুদ্ধে ব্যাপক প্রাণহানির প্রতিবাদে এই কর্মসূচির ডাক দেয়া হয়েছিল। গত ৪ মে এই অভিযান শুরুর পর থেকে গুলিতে ১৫০ জনের মতো নিহত হয়েছে বলে মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং সরকার জানাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আক্রান্ত হয়ে গুলি করছে। কিন্তু গণজাগরণ মঞ্চ এই বর্ণনা বিশ্বাস করছে না। আর বিচার বহির্ভূত হত্যার প্রতিবাদে কর্মসূচি দেয় তারা।
‘নির্বিচারে মানুষ খুনের প্রতিবাদে জাগো বাংলাদেশ’ শীর্ষক সমাবেশে অংশ নিতে গেলে ইমরানকে আটক করে র্যাব সদস্যরা। এ সময় জাতীয় জাদুঘরের সামনে থেকে সাদা পোশাকের আট নয়জনের একটি দল ইমরানকে মাইক্রোবাসে তুলে নেয়।
এ সময় বাধা দেন গণজাগরণ মঞ্চ ও ছাত্র ইউনিয়নের নেতা-কর্মীরা। এ সময় তাদের লাঠিপেটা করে ধাওয়া দেওয়া হয়। এতে পাঁচজন আহত হন।
তারা হলেন, ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক লিটন নন্দি, সহ-সভাপতি অনিক রায়, ঢাকা মহানগর সভাপতি দিক শীল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি ফয়জুল্লাহ এবং ঢাবির সহ-সভাপতি সাখাওয়াত ফাহাদ।
শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান জানান, ইমরান এইচ সরকারের কর্মসূচির কোনো অনুমতি ছিল না। শুধু ছাত্র ইউনিয়নের কর্মসূচির মৌখিক অনুমতি ছিল। ইমরানের বিরুদ্ধে আমার থানায় কোনো মামলা নেই। তার আটকের ব্যাপারে র্যাবই ভালো বলতে পারবে।
গত রবিবার শাহবাগে প্রতিবাদ ও অবস্থান কর্মসূচি দিয়েছিল গণজাগরণ মঞ্চ। তবে অনুমতি না থাকা পুলিশের বাধার মুখে সেদিন তাদের সরে যেতে হয়।