তুরস্কে চলতি মাসে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। নির্বাচনে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যিপ এরদোগান নজিরবিহীন প্রতিদ্বন্দ্বিতার সম্মুখীন হতে যাচ্ছেন। তার প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিরোধীরা নতুন একটি ঐক্য গড়ে তুলেছে। তারা জোর নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
খবরে বলা হয়, ২০০৩ সাল থেকে তুরস্ক শাসন করে আসছেন এরদোগান। আসন্ন নির্বাচনে আবারো নিজেকে বিজয়ী দেখতে চান। কিন্তু বিশ্লেষকরা বলেন, তার ক্ষমতাসীন জাস্টিস এন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (একেপি) ২৪ জুনের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনে বিরোধী জোটের কাছে হেরেও যেতে পারে।
গত বছরের গণভোটের মাধ্যমে তার ক্ষমতাকে বহুগুণ বাড়ানো হয়েছে। বর্তমানে বেশ শক্ত ভিত্তির ওপর দাড়িয়ে আছেন তিনি। কিন্তু তার বিজয় সম্পর্কে আগে থেকেই কিছু বলা যাচ্ছে না। এই নির্বাচনটি দ্বিতীয় পর্যায়ে যেতে পারে।
প্রধান বিরোধী দল রিপাবলিকান পিপলস’ পার্টি (সিএইচপি) নেতা কেমাল কিলিকদারোগলু নিজেই প্রার্থী না হয়ে এমপি মুহারেম ইনসেকে মনোনীত করে সবাইকে অবাক করে দিয়েছেন। আর ইনসের দল ভিন্নমতাবলম্বী জাতীয়তাবাদী সাবেক মন্ত্রী মেরাল আকসেনের ও রক্ষণশীল সাদেত পার্টির সঙ্গে বৃহৎ জোট গড়ে তোলেন।
ইউরোপীয় পরিষদের বৈদেশিক সম্পর্ক বিষয়ক কর্মকর্তা এসলি আইদিনতাসবাস বলেন, ‘এই প্রথমবারের মতো তুরস্কের বিরোধী দলগুলো এ ধরনের সমন্বয় ও ঐক্য গড়ে তুলছে। তিনি বলেন, একেপি ইনসেকে যথাযথ গুরুত্ব দেয়নি। কিলিকদারোগলুকে একটি সহজ প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করা হয়েছিল।
অর্থনৈতিক সংকট বৃদ্ধির মধ্যেই তুরস্কে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এ বছর তুরস্কের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ১২.১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে এবং ডলারের বিপরীতে লিরার মান ২০ শতাংশ কমে গেছে।
তুরস্কতে বর্তমানে ৩৫ লাখ সিরীয় শরণার্থী অবস্থান করছে। দেশের মানুষ ক্রমেই এদের প্রতি বিরূপ ও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠছে। বিরোধী দলগুলো জনগণের এই মনোভাবকে পুঁজি করে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে।